প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধের্য্যই উত্তম

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২১

আতাউর রহমান রাব্বি:
গভীর ভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায়, প্রতিকূল পরিবেশ ও বিরূপ পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে যারা উঠে দাঁড়াতে পারে প্রকৃত পক্ষে তাঁরাই সফল। পৃথিবীতে যাঁরা সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছেন তাঁরা নিঃসন্দেহে কোন না কোন ভাবে ধৈর্য বা সহনশীলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

মানবজীবনে ধৈর্যের একটা সীমা আছে। যখন সীমাহীন অন্যায়-অত্যাচারে শিকার হয়ে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তখন সে মহা শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তখন তাঁর সামনে পাহাড় সমান বাধা দিলেও তাকে দাবানো সম্ভব না। তখন সকল সংকীর্ণতা এড়িয়ে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে।

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা অনেকটা নড়বড়ে। সামাজিক শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ- এ কথাটি চিরন্তন সত্য হলেও কিছু আছে বন্য প্রাণীর চেয়েও হিংস্র। এরা সমাজে বাস করলেও এদের আচরণ অনেকটা হিংস্র প্রানীর মতো। এরাই সমাজের অশুভ শক্তি হয়ে দাঁড়ায়, সমাজ বিশৃঙ্খলার মূল। বৃহত্তর সামাজিক স্বার্থে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত সকলের।

প্রতিকূলতার মধ্যে টিকে থাকতে মানুষকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয় । সংগ্রামী কিংবা বিপ্লবী মানুষের জয় চিরন্তন সত্য হয়ে থাকে। তবে তাকে প্রতিকূল পরিবেশে ভয় কিংবা ভেঙে না পড়ে ধৈর্য এবং সহনশীলতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে প্রতিকূলতাকে। ধৈর্য এবং সহনশীলতা মানুষকে করে আত্মশক্তিতে বলীয়ান কিংবা আত্মপ্রত্যয়ী। যেকোনো ধরনের দুঃখ-যন্ত্রনা তাঁদের মনোবলকে করো আরো দৃঢ়।

অবহেলা, অপমান, অন্যায়-অত্যাচার মানবজীবনের একটি অংশ। যারা এটিকে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে পারবে তাঁরাই সফলতার শীর্ষে পৌঁছাবে। ধৈর্য এবং সহনশীলতায় অটুট ছিল বলেই হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম প্রতিষ্ঠাতায় সফল হয়েছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও। কাজেই আমি বলবো মানুষ ধৈর্য ধারণ করে,ব্যক্তি কিংবা জাতীয় জীবনে ধৈর্যের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে প্রতি মুহূর্তে।