রামগতি-কমলনগরে ইদ আনন্দের নামে ডিজে ট্রাকের অত্যাচারে আতিষ্ঠ সাধারন মানুষ

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২২

দেশালোক:
ট্রাক-পিকআপযোগে উচ্চশব্দে ডিজে গান বাজিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, শব্দ দূষণ ও নারীদের উত্যক্ত করাসহ পিকআপ থেকে পথচারীদের রঙ্গিন পানি ছিটানোর অভিযোগ উঠেছে। এদের অত্যাচারে মেঘনার তীরে আসা পর্যটকরা রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠেছে। এছাড়াও এসব ট্রাক-পিকআপে রাস্তায় যুবকদের উদ্যম নাচ, শিষ দেয়া ইত্যাদি উদ্ভট কর্মকান্ডের জন্য সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা দুটির বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারন মানুষও এসব ডিজে ট্রাক—পিকআপ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

ইতিমধ্যে কমলনগর উপজেলা পুলিশ এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) কতৃর্ক একাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শতাধিক যুবককে আটক করে ট্রাক—পিকআপ চালককে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় সড়ক ও পরিবহন আইন অমান্যা করায় ৯টি মামলায় ৯টি পিকআপকে জরিমানা করা হয়। এসব যানবাহনে বহনরতরা অপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদেরকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।

রামগতি উপজেলার বান্দেরহাটে এলাকাবাসী একত্র হয়ে বেশ কয়েকটি ডিজে ট্রাক-পিকআপকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও উপজেলার আজাদনগর, রামদয়াল, রামগতি বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব ট্রাক ছত্রভঙ্গ করার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার একাধিক স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জনসাধারনের প্রতিহতের খবর ছড়িয়ে পড়ায় ইদের দ্বিতীয় দিন বিকেলে এসব ডিজে ট্রাক—পিকআপের উপদ্রব কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে।

সাধারন মানুষের প্রশ্ন কিছু বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল তরুনের এ অসুস্থ বিনোদন থামাবে কে? উপজেলা দুটির প্রধান সড়কের পাশে সরকারি এবং বেসরকারি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান গুলোর অবস্থান। মেঘনা পাড়ে লাখো দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। বেপরোয়া এব ট্রাক—পিকআপ চলায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

রামগতি পৌর এলাকার মনিরুল ইসলাম বলেন, ইদের আনন্দ উদযাপনে এ বেপরোয়া অপসংস্কৃতি কোনো সভ্য জাতির আনন্দ হতে পারে না। ঈদের দিন ধর্মীয় উৎসবকে কলুষিত করে একশ্রেণির বখাটে যুবক এমন নোংরা কাজে লিপ্ত হয়েছে। এসব বখাটে যুবকগুলো ঢোল তবলা পিটিয়ে আনন্দ উল্লাসের নামে ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িয়ে পড়েন। এদের এখনই থামানো উচিত।

ভুক্তভোগী কয়েকজন বাজার ব্যবসায়ী জানান, ইদের দিন থেকে এরা ট্রাক-পিকআপ যোগে উচ্চ শব্দে ডিজে গান বাজিয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের উন্মাদনা এখন আতংকে রুপ নিয়েছে। সাথে রয়েছে ইভটিজিং, যৌন হয়রানীসহ উন্মুক্ত মাদক গ্রহন।

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, এসব অপসংস্কৃতি বন্ধে পুলিশ টহল দিচ্ছেন। অপরাধীদের ধরতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তনু চৌধুরী ও কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পুদম পুষ্প চাকমা বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকটি ডিজে দলকে আটক করে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।