হাজারো আলেমের ওস্তাদ আলহাজ্ব হযরত মাও. আবু তাহের (হা:)

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৩

হাজারো আলেমের ওস্তাদ। ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার ও প্রসারের কারিগর। হযরত মাওলানা আবু তাহের সাহেব। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেশ কয়েকমাস পুর্বে তাঁর সাক্ষাৎকার  নিয়েছেন দেশালোক ডটকমে এর  সম্পাদক সারোয়ার মিরন-

আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ আবু তাহের (হা:)
পিতার নাম:  মো: মহসীন মুন্সী
মাতার নাম:  মৃত গোল চাহেরা খাতুন
জন্ম তারিখ ও সাল:  ০৬ জুলাই ১৯৪৩ইং , ২২ আষাঢ় ১৩৫০বাংলা।
বর্তমান ঠিকানা: মাওলানা মো: আবু তাহের সাহেবের বাড়ি, গ্রাম: চর হাসান হোসেন, ডাকঘর: নুরিয়া মাদরাসা, উপজেলা: রামগতি, জেলা: লক্ষ্মীপুর—৩৭৩০।
পূর্ব পুরুষের ঠিকানা: আলী মিয়া মুন্সী বাড়ি, গ্রাম: মেধুয়া, ডাকঘর: শুকদেব, উপজেলা: দৌলতখাঁন, জেলা: ভোলা।
পড়ালেখা: ১৯৬২ সালে বালুর চর আলিম মাদ্রাসা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে দাখিল, ভোলা জেলার হাজীপুর সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৯৬৪ আলিম এবং ১৯৬৮ সালে ফাজিল এবং নোয়াখালী ইসলামীয় কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৭০ সালে দ্বিতীয় বিভাগে কামিল পাশ করেন। এছাড়াও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আরসি কলেজ (বর্তমানে আসম আবদুর রব সরকারি কলেজ) থেকে ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিএ ভর্তি হলেও পেশাগত ব্যস্ততার জন্য শেষ করতে পারেন নি।
নদী ভাংগনের পটভূমি:
মেঘনার প্রবল ভাংগনে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন মেধুয়া গ্রামের বাসস্থান ভেঙ্গে গেলে বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের মাঝের চর গ্রামে বসবাস শুরু।
বর্তমান ঠিকানায় বসবাসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের মাঝের চর গ্রামের বসতবাড়ী ভেঙ্গে গেলে চর আলেকজান্ডার পশ্চিম বালুর চর ফজলুল করিম জমাদার সাহেবের বাড়িতে বসবাস শুরু। আবারো নদী ভাংগের শিকার হয়ে বর্তমান চরআলগী ইউনিয়নের চর হাসান হোসেন গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু।
বৈবাহিক জীবন:
১৯৬৯ইং সনে চর আলেকজান্ডার পশ্চিম বালুরচর নিবাসী ফজলুল কারিম জমাদার সাহেবের কনিষ্ট কন্যা মমতাজ বেগমকে বিয়ে করেন। বর্তমানে এ সফল দম্পতির ৪ ছেলে এবং তিন মেয়ে। বড় ছেলে মো: মুশফিকুর রহমান, সেজ ছেলে মো: ইয়াছিন, মেজ ছেলে মো: যোবায়ের হাসান এবং ছোট ছেলে মো: ওমর ফারুক। তিন মেয়ে যথাক্রমে- বিবি মরিয়ম, বিবি রাবিয়া এবং বিবি খাদিজা।
 শিক্ষকতায় যুক্ত হওয়া:
বালুরচর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় ১৫.১০.১৯৭০ সালে সিনিয়র মাওলানা পদে যোগদান করেন। তারপর ১২.১০.১৯৭৬ সালে আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসায় আরবী বিষয়ের প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
পদ পদবী এবং অবস্থান:
দীর্ঘ ৩৮ বছর শিক্ষকতা শেষে চর আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসা থেকে ২৮.০২.২০১৩ সালে অবসর গ্রহন করেন।
 শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা:
১৯৯১ইং সালে নিজের দানকৃত জায়গায় মোহাম্মদীয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৬ সালে মোহাম্মদীয়া ইসলামীয়া নুরানী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯৯ইং সালে মোহাম্মদীয়া ইসলামীয়া জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।
দান অনুদান:
ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ মাদ্রাসায় সর্বমোট ৬৭শতাংশ জমি দান করেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা।
খতীব হিসেবে দায়িত্ব:
১৯৭১ সালে জিয়ানুদ্দিন হাওলাদার জামে মসজিদে ৫বছর, ফজলুল কারিম জমাদার জামে মসজিদে ৭বছর, আ: মোমেন পাটওয়ারী জামে মসজিদে ৩০ বছর এবং জীবনের এ সময়ে মোহাম্মদীয়া ইসলামীয়া জামে মসজিদের খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেন।
পবিত্র হজ্জব্রত পালন:
মহান আল্লাহর কৃপায় ২০১১ সালে পবিত্র হজ্জ পালন সম্পন্ন করেন।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অবদান:
ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন, দোয়া মাহফিল ইত্যাদিতে কোরআন হাদীস বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করে চলেছেন।
মানব সেবায় অংশগ্রহন:
এতিম, গরীব, বিধবা এবং অসহায় মানুষদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছেন। আপন ভাই মো: বশির আহম্মেদ এর মৃত্যুর পর থেকে দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে পারিবারিক ভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছেন। একজন এতিম ভাতিজাকে হিফজুল কোরআন শিক্ষায় সহযোগিতা করছেন।
চিকিৎসা সেবা:
হোমিও চিকিৎসা অভিজ্ঞ ডাক্তার নিমাই চন্দ্র মজুমদারের কাছ থেকে হোমিওপ্যাথী বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে হোমিও প্যাথী চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। বিনা মূল্যে, স্বল্পমূল্যেও চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও অতীতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগিদের ইনজেকশান এবং স্যালাইন পুশিং করার কাজ করেছেন দায়িত্ববোধ থেকেই।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিশেষ অবদান:

বর্তমান যুব সমাজের প্রতি নসিহত:
আল্লাহ ভীরু এবং রাসুল (স) এর জীবন আদর্শে আদর্শবান হতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সৎ কর্মশীল সমাজ গড়ার জন্য সব সময় নিয়োজিত থাকতে হবে যুব সমাজকে।