রামগতি -হাতিয়া সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে কাজ করতে চান আ. ওয়াহেদ

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

সারোয়ার মিরন:

রামগতি-হাতিয়া সীমানা জটিলতা নিয়ে তিনযুগ ধরে চলা বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিগত দিনের মতো কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ। ১৭এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছায়ের দিন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অতীতেও এ সীমানা বিরোধ নিরসনে জনগনকে সাথে নিয়ে কাজ করেছি, নির্বাচিত হলে এ বিরোধ নিষ্পত্তিতে কাজ করব। এছাড়াও রামগতি উপজেলার সাথে নোয়াখালী সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রামগতি শেখ রাসেল সেতু সংলগ্ন মৎস্য অবতরন কেন্দ্র স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর আগেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে একাধিকবার দায়িত্বপালন কালে জনগনের কল্যানে কাজ করেছি। এবারও কাজ করবো। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জনসাধারন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সহযোগিতা ও সমর্থন পাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর স্ত্রী রামগতি আহমদিয়া ডিগ্রি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ ও রামগতি আছিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ জামসেদা জাং চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হলেও স্বামীর প্রতিদ্বন্ধী নই, সহযোগী। আমি মনে করি স্বামীকে জেতানোর জন্যই আমি প্রার্থী হয়েছি। শহরে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেও আমি এ চরাঞ্চলে দীর্ঘ জীবন মানুষের সেবা করেই কাটিয়ে দিয়েছি। বাকি জীবনটাও কাটাতে চাই। রামগতি সাধারন মানুষ অবশ্যই আবদুল ওয়াহেদকে বিজয়ী করবেন বলেও তিনি আশাবাদী।

আবদুল ওয়াহেদ সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি প্রথম দফায় ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি একাধিকবার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। দু দুবার নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা জুড়ে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবায়ও রেখে চলেছেন অবদান। তাঁর পিতা মরহুম আহমদ উল্যাহ মিয়া নিজ নামে একটি ডিগ্রি কলেজ, একটি বালিকা বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা, একাধিক মসজিদ সর্ম্পূন্ন একক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদরাসাসহ বহু সামাজিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিয়মিত দেখভাল করছেন। পাশাপাশি সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন রামগতি বিবিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও আহমদীয়া ডিগ্রী কলেজ এর।

এছাড়াও হাতিয়া-বয়ারচর সীমানা বিরোধ, অত্যাধুনিক মৎস্য অবতরন কেন্দ্র নির্মান, টাংকিবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, মেঘনার ভাংগন রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন, চরগাজী ও চর আবদুল্যাহতে একাধিক আশ্রয়ন প্রকল্প স্থাপনে বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সূবর্ণ সুযোগ থাকলেও তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তৎকালীন প্রার্থী মো: আবদুল্যাহ (আল মামুন) কে নির্বাচিত করতে সক্রিয়া ভূমিকা রেখেছেন।

দীর্ঘ তিনযুগ ধরে দল ও জন সাধারনের প্রতি আমার শ্রম সাধনা ও সততার সাফল্য সরুপ এবার নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন। এ ব্যাপারে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।