এবারও দর্শনার্থী নিষেধাজ্ঞায় থাকছে মেঘনা পাড়

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২১

সারোয়ার মিরন:

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে গতো ইদুল ফেতরের ন্যায় এবারও নিষেধাজ্ঞা থাকছে রামগতি উপজেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান মেঘনা বেড়ীবাঁধ এলাকায়। ফলশ্রুতিতে এবারও জনসমাগম নিষেধাজ্ঞার ফলে দর্শনার্থীরা মেঘনা বেড়ীবাঁধ এলাকায় প্রবেশ করাত পারবেন না। এ বিনোদন স্পটের আশপাশের সকল হোটেল রেস্তরা এবং পার্কিং স্পট গুলোও বন্ধ থাকবে। চলাচল করবেনা কোন ভ্রমন বোট কিংবা নৌকাও। নিয়মিত উপস্থিত থাকবে পাঁচ সদস্যের একটি আনসার টিম।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো: আবদুল মোমিন জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞার সাথে মিল রেখে উপজেলার আলেকজান্ডার বেড়ীবাঁধ এলাকায় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা প্রসাশনের স্যোসাল সাইটে এ বিষয়ে প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, লকডাউন শিথিল করা হলেও দেশের পর্যটন ও বিনোদন স্পটসমূহে জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেঘনা পাড়েও এটি বহাল থাকবে। ইদের দিন গুলোতে বেড়ীবাঁধ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত টহল থাকবে।

উল্লেখ, ২০১৫ সালে রামগতি উপজেলায় একশত আটানব্বই কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার (আলেকজান্ডারে সাড়ে চার কিমি, রামগতি বাজার এলাকায় এক কিমি এবং কমলনগরে এক কিমি) বেড়ীবাঁধ নির্মান করা হয়।নির্মানের পর থেকেই এ বেড়ীবাঁধ বৃহত্তর নোয়াখালী একটি দর্শনীয় পর্যটন স্পটে পরিনত হয়। অন্যান্য সময়ের পাশাপাশি ইদের দিন গুলোতে লাখো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে এ বেড়ীবাঁধ এলাকায়।

করোনাকালীন সময়ে গত ইদুল ফেতরে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও ব্যাপক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটে। অবশেষে প্রসাশনের কঠোর হস্তক্ষেপের ফলে পরবর্তীতে এ জনসামগমের ইতি ঘটে। অতীতের অভিজ্ঞতায় এবার আরো বেশি সতর্ক স্থানীয় প্রসাশন।