অনার্স শিক্ষকদের এমপিওভূক্তিতে প্রয়োজন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

মো: দেলোয়ার হোসেন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর বর্তমান মাননীয় উপাচার্য মহোদয় ড. হারুন-অর-রশিদ স্যার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল ধরার আগে প্রথম তিনি আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন প্রথিতযশা রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য শিক্ষক। নিঃসন্দেহে স্যার একজন অসম্ভব মেধাসম্পন্ন ব্যক্তি ও জ্ঞানী মানুষ। স্যারকে আমি কাছ থেকে যতটুকু দেখেছি তাঁর মতো সত্য,সাহসী,ত্যাগী ও ন্যায়পূজারী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক ডিপার্টমেন্টে খুব কমসংখ্যক শিক্ষকই রয়েছেন। শুধু ডিপার্টমেন্টে কেনো সারা বাংলাদেশেও তাঁর মতো বিবেকবান মানুষের জুড়ি মেলা ভার।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাঁকে দুই দুইবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব অর্পণ করে বিন্দুমাত্র ভুল তো করেননি বরং তাঁর আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট যেমন হ্রাস পেয়েছে তেমনি লেখাপড়ার মান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে একথা নির্ধিদ্বায় বলা যায়। স্যার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞানবান, যোগ্য ও মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা ও দিনরাত অবিরত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বর্তমান মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের হাত ধরে এসেছে এটা আমাদের কারোরই অজানা নয়। এতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীল আচরণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

মাননীয় উপাচার্য মহোদয় শিক্ষকদের কল্যাণে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ কল্যাণমূলক কাজ করেছেন তা নিঃসন্দেহে খুবই প্রশংসনীয় ও সাধুবাদ জানাই। স্যারকে আমরা বিনীত ভাবে অনুরোধ করবো- বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করার জন্য। বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের বেতন প্রদানের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কলেজের হাতে অর্পণ না করে যদি শিক্ষামন্ত্রণালয় কিংবা অন্যকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর ন্যস্ত করা যায় তাহলে আমরা যেমন দুর্বিষহ মানবেতর জীবনযাপন করা থেকে মুক্তি পাই তেমনিভাবে এই স্তরে আরো মেধাবী ও যোগ্যসম্পন্ন শিক্ষকদের পদচারণা বাড়বে। শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচও অনেকাংশে কমে আসবে ইনশাল্লাহ।

সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির মিটিংয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন- আপনার সাথে কথা বলে আমাদের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। আমরা দারুণ আশাবাদী আপনি আমাদেরকে কোনোভাবেই নিরাশ করবেন না ইনশাল্লাহ।

মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন – প্লিজ স্যার তথাকথিত নীতিমালার নিষ্ঠুর কবল থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়নে অপরিসীম সহযোগিতা করবেন প্রত্যাশা করি। আল্লাহ আপনাকে সুস্থতাসহ দীর্ঘায়ু দান করুন।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।

লেখক: ননএমপিও বেসরকারি অনার্স শিক্ষক