১২ কোটি টাকা চেয়ে বেসরকারি অনার্স শিক্ষকদের মানবিক আবেদন

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০

শাহ মোঃ রকিবুল ইসলামঃ অনার্স শিক্ষকদের জনবল কাঠামো ও এমপিওর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ দরকার হয়,তাহলে এটা মন্ত্রী মহোদয় বা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে কি পড়ে না!

একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে কেউ সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবে,আর কেউ যুগ যুগ নিগৃহীত থাকবে?
যেহেতু বেসরকারি কলেজে অনার্স কোর্স চালু আছে, সেহেতু জনবলে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিও দেয়া কি অনৈতিক?

একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে কেউ আত্মীকরণ হলে,ডিগ্রি শিক্ষক এমপিও পেলে, কামিল স্তরের শিক্ষক এমপিও পেলে, অনার্স শিক্ষক কেনো পাবেনা?

মাত্র তিন হাজার শিক্ষককে এমপিওর জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ দেয়া কি খুব অন্যায়! যদি তাই হয় তাহলে টাঙ্গাইলের জিবিজি কলেজের অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক কেমনে নির্বাহী আদেশে এমপিও পেয়েছিল!

শিক্ষানীতির উচ্চশিক্ষার কৌশলেও ডিগ্রি কলেজগুলোতে পর্যায়ক্রমে ৪বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান কোর্স চালু করা এবং স্নাতক সম্মান কোর্সকে সমাপনী ডিগ্রি হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিলো কিন্তু সেটাকেও সুপরিকল্পিতভাবে কে বা কারা এড়িয়ে যাচ্ছেন! কেনো?

অনার্স শিক্ষকরাও তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিবন্ধন পরীক্ষায় এবং প্রচলিত নিয়োগ বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও কেনো জনবল কাঠামোর অজুহাতে এমপিও পাবেনা?

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের অসহায়ত্বের ও বৈষম্যের কথা কেনো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় তুলে ধরে সমাধানের ব্যবস্হা করবেনা!

প্রান্তিক পর্যায়ের গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা কেনো গলাকাটা টিউশন ফি দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে?

বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই যে দেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ,সাবমেরিন ডুবানোসহ ভিনদেশী অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পারে,কেনো সেই দেশ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কারিগরদের জন্য মাসিক মাত্র ১২ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারবেনা!

মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে ৩২২ জন অনার্স শিক্ষককে জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওর নির্দেশনা এবং সেই রীটটিতে সরকারপক্ষের আপিল করার সুযোগ না থাকার পরেও কেনো এমপিও হলোনা? অথচ গত তিন মাস আগে একজন অনার্স শিক্ষক এমপিও পেলেন মহামান্য আদালতের রায়ে!

নবম ও দশম সংসদের শিক্ষা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ এবং প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীর কার্যালয়ের সুপারিশেও কেনো আমলে নেয়া হয়নি?
সর্বশেষ জনবল কাঠামো সংশোধন কমিটির ১ম মিটিং এ সম্মানিত সদস্যগণের এমপিও দেয়ার সুপারিশ কেনো হিমাগারে চলে গেলো?

সংশোধনাধীন জনবল কাঠামোতে অনার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে এমপিও দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে বহুবছর ধরে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছি।সরকারের শিক্ষা প্রশাসকগণকে বহু আবেদন -নিবেদন করে আসছি।আমরা প্রবলভাবে বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনার্স শিক্ষকদের ২৮ বছরের বৈষম্যের কথা পৌঁছাতে পারলেই ইনশাআল্লাহ আমরা এমপিও পাবোই,পাবো।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং মন্ত্রীদ্বয় যদি আমাদেরকে এবারেও বাদ দিয়ে দেন,তাহলে যুগের পর যুগ এভাবে অবহেলিত থাকার চেয়ে সারা দেশের অনার্স -মাস্টার্স শিক্ষকগণের আমরণ অনশন করে রাজপথে জীবন বিসর্জন করা ছাড়া উপায় থাকবেনা।