এমপিওর দাবিতে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের আমরণ অনশনের হুমকি

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২২

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রনালয় কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিওভূক্তির সুস্পষ্ট ঘোষনা না আসলে আমরন অনশনের হুমকি দিয়েছে বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা। ১নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানীর জাতীয় রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষনা দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন। এতে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো: হারুন অর রশিদ।

তিনি জানান, বেসরকারি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৫,৫০০ জন অনার্স -মাস্টার্স শিক্ষককে জনবলে অন্তর্ভুক্তি না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধার (এমপিও) বাইরে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়না। করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত নামমাত্র বেতনটুকুও বন্ধ থাকায় শিক্ষকগণ জীবন- জীবীকার কঠিন সমীকরণে আটকে গেছে। একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ ক্যাডার/নন -ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। ডিগ্রী ৩য় শিক্ষকগণ জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকগণও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণও এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না,যা চরম বৈষম্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরেও অদ্যবধি আমরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। সর্বজন স্বীকৃত সত্য যে, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরের অনেক বৈষম্য কমেছে।  অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত সারাদেশের মাত্র ৫,৫০০ জন শিক্ষক এখনো এমপিওভুক্তির বাহিরে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের একাধিক নির্দেশনা, শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নবম ও দশম সংসদের স্থায়ী কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর অধ্যায়-০৮ -এ বর্ণিত উচ্চশিক্ষার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এই সকল শিক্ষকের এমপিওভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ছিলো। বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত ৫,৫০০ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে ১২ কোটি বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয়বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়, জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

এ শিক্ষক নেতা আরো জানান, আমরা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, বিশ্ব মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষাবান্ধব সরকারের সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তি চাই, বেঁচে থাকার সুযোগ চাই। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন সংগ্রামের পরেও আমাদের দাবিটি উপেক্ষিত রয়েছে, যা অমানবিক বটে।এমতাবস্তায় আগামী ৩০ নভেম্বর, ২০২২ইং তারিখের মধ্যে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া না হলে আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।

এ সময় সারাদেশের জেলা এবং কেন্দ্রিয় কমিটির শিক্ষক নেতা ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।