শিক্ষকের ‍বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা: রামগতিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২৪

সুরাইয়া আক্তার:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শিক্ষককে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে উপজেলার চর আফজল আজাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এসব কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষার্থী আল রায়হাদ নোবেল, আহসান হাবীব রানা, দেলোয়ার হোসাইন, মো ইব্রাহিম, মো: রায়হান এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা।

বক্তারা জানান, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে পাঠদান করে আসছেন। তাঁর নানামুখী সফলতায় দ্বগ্ধ হয়ে ও পারিবারিক দ্বন্ধের জের ধরে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন চাচা আলমগীর হোসেন। মিথ্যা মামলায় হয়রানির পাশাপাশি চাচা আলমগীর ও তার ছেলে এমরান হোসেন পাটোয়ারী, জিল্লুর রহমান, রেদওয়ান উল্যাহ, মো: রাহাদ এবং স্থানীয় একরামুল হকের ছেলে আবুদল মোমিন, মৃত হাবিব উল্যাহর ছেলে বুলবুল আসাদ এবং নুরুল হুদার ছেলে আবদুল হান্নানসহ বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক মানজুর আহমদ, সহকারি প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানসহ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে ক্রমাগত ফেসবুকে নানান কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে সমাধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন এর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

ক্রমাগত মামলা, ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট এবং নানান হয়রানির মুখে পড়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও পাঠদান কাজে মনযোগ হারাচ্ছেন। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত ও বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, ফেসবুক আইডিসমূহ চিহ্নিত করে করে আইনের আওতায় আনা, পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করে তাদের শিক্ষককে দ্রুত হয়রানি মুক্ত করার দাবি করেন।

জানা যায়, শিক্ষক মিজানুর রহমান নাবালক থাকা অবস্থায় তাঁর বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর চাচা আলমীগর হোসেন তার বাবার নামীয় সম্পত্তি ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে দখলে নেন। সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেও সমাধান না পাওয়ায় ল্যান্ড সার্ভে টাইব্যুনালে একটি মামলা করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা আলমগীর তার নামে একাধিক মামলা করে হয়রানি করছেন। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ৮টি ফৌজদারি মামলা, গ্রাম আদালতে ৪টি এবং থানায় ৪টি অভিযোগ করেন ঐ সংঘবদ্ধ চক্র। যার সবগুলোই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা দাবি করে শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ক্রমাগত মামলা ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বেশ ক্লান্ত। সামাজিকভাবেও হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। আমি এসব মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চাই। পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।