ফেসবুক জুড়ে রামগতি- কমলনগরে বেড়ীবাঁধের দাবি

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২০

দেশালোক ডেস্কঃ অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সচেতন নেটিজেনরা ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন বেড়ীবাঁধের। রামগতি কমলনগরের প্রায় প্রতিটি সচেতন ফেসবুকার মেঘনার রাক্ষুসে স্বরুপ তুলে ধরে নিজ ওয়ালে পোস্ট করছেন। টেক্সট, ইমেজ, ভিডিওর পাশাপাশি লাইভও করছেন অনেক এক্টিভিস্ট। সবারই দাবি অভিন্ন। রামগতি কমলনগর বাঁচাতে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন টেকসই বেড়ীবাঁধ।

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরা হলোঃ

মিজান আহমেদঃ রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বহু বাড়ি-ঘর, বাজার, মসজিদ , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিশাল এলাকা মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এ সব ঘর বাড়িতে রান্নার ব্যবস্থা নাই। নদীর কূল থেকে প্রায় ৫ (পাঁচ) কিলোমিটার ভিতরে এই সকল বাড়ি ঘর। নদীর কূলবর্তী এলাকার চিত্র আরো ভয়াবহ।
এগুলো দেখারও কেউ নাই, শোনার কেউ নাই। একমাত্র ভরসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। দয়া করো রাব্বুল আলামীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রামগতি ও কমলনগর কে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন। আমাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।

আবদুস সামাদ (শিক্ষক)ঃ মেঘনা নদীর জোয়ারে পানি-বন্দি আমাদের বাসা। এত উঁচু বাসা, তারপরও পানি থেকে রক্ষা নেই। আমার জীবনেও এত পানি দেখিনি। আল্লাহ আমাদের রহম করুন। রামগতি – কমলনগরে অতি দ্রুত বেড়ীবাঁধ চাই।

যোবায়ের হাসান (ব্যবসায়ী)ঃ “কুলায়” ভর করে নৌকায় ভাসালো রামগতির সর্বহারা মানুষকে। এ খেলা পুরনো খেলা। রামগতির সাদাসিদে মানুষকে নিয়ে খেলেছে অনেকেই। রাতারাতি নেতা থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া নেতা বহু দেখেছি, কিন্তু কেউ রামগতি-কমলনগরে উপকারে আসেনি।

মাসুদ সুমন (চাকুরীজীবী)ঃ একদিকে করোনা মহামারী একদিকে নদীর ভাঙ্গন তার উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে রামগতি কমলনগর প্রায় ইউনিয়ন।
রামগতি কমলনগর এর সকল রাজনৈতিক নেতা উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সহ সকল সামাজিক সংগঠন কে বন্যা কবলিত রামগতি- কমলনগরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।

অরিদ খন্দকার (শিক্ষার্থী); দুর্ভোগের আরও একটি দিন। অসহায় আমরা রামগতি-কমলনগরে মানুষ আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই আল্লাহ তুমি রহম করো।

মোঃ নজরুল ইসলাম (চাকুরীজীবী)ঃ আজ জোয়ারের পানি চর সেকান্তর রাস্তার মাথা পর্যন্ত চলে আসছে আর একফুট উচ্চতা হলে হাইওয়ে পেরিয়ে রাস্তার পুর্বপাশে ও প্লাবিত হতো! তাতে আমাদের হাইওয়ে রাস্তার অনেক ক্ষতি হয়ে যেতো। এই রোডে রামগতি থেকে লক্ষ্মপুীর, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার সাথে যেগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতো। অচিরেই নদীর বাঁধের কাজ না হলে হয়তো এক সময় রামগতি, কমলনগর দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। আল্লাহ রামগতি, কমলনগরের মানুষকে নদী ভাঙ্গার হাত থেকে হেফাজতে রাখুন।

মোঃ আবদুস সাত্তার (শিক্ষক); আবারও জোয়ারের পানি সব জায়গা সয়লাব। জানিনা এ থেকে কবে নাগাদ পরিত্রাণ পাব! অনতিবিলম্বে রামগতি ও কমলনগরে তীর রক্ষা ব্লক বাঁধ না দিলে অচিরেই বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে উপজেলা দুটির কয়েকটি ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।