দেশালোক সংবাদঃ গতকালকের পর আজ আবারো উপকূল জুড়ে জোয়ারের আঘাত। এবার বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পানি। অনেকেই ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছে উঁচু বাঁধ নয়তো বেড়ীবাঁধ এলাকায়।

ঢেউয়ের পর ঢেউ আছড়ে পড়ছে মাটির ভিটায়। যতদুর চোখ যায় কেবলই পানি আর পানি।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের উপজেলার পঁয়ত্রিশটি গ্রামের দু লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। আজো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত।

২০আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় শুরু হওয়া জোয়ারে পানি পানি প্রবেশ করেছে ঘর ভিটায়। উপর্যুপরি ঢেউয়ে কাঁচাঘর গুলোর ভিটা দেবে গেছে। পিঁপড়া, পোকামাকড়, ব্যাঙ সাপ হানা দিচ্ছে ঘরে। প্রতি নিয়তই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলেকজান্ডার ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বালুরচরের প্রায় সকল পরিবারেই জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে ঘরের খাট কিংবা চৌকিতে। পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে রান্না ঘরের চুলোও।

রামগতি উপজেলার চরগাজী, বড়খেরী, বিবিরহাট, চরগোসাই, চরআলগী, চরমেহার আলেকজান্ডার, বালুরচর, মুন্সিরহাট, চর আবদুল্যাহ এবং কমলনগরের লুধুয়া, সাহেবেরহাট, চর মার্টিন, পাটারীরহাট, ফলকন, মতিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে ভাসছে। রাস্তাঘাট উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি।

ভুক্তভোগীরা মেঘনায় বেড়ীবাঁধ না থাকাকে দায়ী করেছেন। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উপকূলবাসীকে রক্ষায় দ্রুত বেড়ীবাঁধ দেয়ার দাবি জানান।