রামগতি ট্র্যাজেডি: স্বপ্ন নিয়ে’রা আছে বলেই আমরা আশাবাদী হই

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২১
স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন স্বপ্ননিয়ে

দেশালোক: কক্সবাজার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে বিষ্পোরনে আহত হন রামগতি উপজেলার ২১ জেলে। এদের মধ্যে মারাত্মক অগ্নিদ্বগ্ধ হয় ১২জন। ইতমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গেছে ছয় জন। এসব হতভাগ্য জেলেদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ও চর রমিজ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে মাছ ধরা অবস্থায় তাদের ট্রলারে রহস্যময় এ বিষ্ফোরণ ঘটে। অগ্নিদগ্ধরা ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন/আছেন।

শুক্রবার রাতে ২ জন, শনিবার ১জন, সোমবার ১জন এবং মঙ্গলবার ১জন এবং সর্বশেষ বুধবারে ১জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে রয়েছে চর গাজী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ টুমচর গ্রামের মো: নুর উদ্দিনের ছেলে মো: বেলাল হোসেন (২৮), মো: সিরাজুল হকের ছেলে মো: মেহেরাজ (২৬), চর লক্ষ্মী গ্রামের মো: আবদুজ জাহের ছেলে মো: মিলন (৩০), চর রমিজ ইউনিয়নের চর গোসাই গ্রামের মন্তাজল হকের ছেলে আবুল কাশেম মিস্ত্রী (৫৫), আবু তাহেরের ছেলে মো. রিপন মাঝি (৩৮) এবং মো: দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো:মিরাজ।

অন্যদিকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন জেলেদের মধ্যে রয়েছেন চর লক্ষ্মী গ্রামের খুশিদ আলমের ছেলে মো:আলাউদ্দিন, কামাল উদ্দিনের ছেলে মো:সাহাবউদ্দিন,আবু তাহেরের ছেলে মো:আবু জাহের,সিরাজুল হকের ছেলে মো:মেহেরাজ উদ্দিন,সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো:মিরাজ উদ্দিন। বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রামগতির ইতিহাসে এটি একটি ট্র্যাজেডি। খবুই হতাশার বিষয় হলো এতো গুলো মানুষ আহত ও মারা যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচিত কোন জনপ্রতিনিধিকে পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। দেখিনি সরকারি কিংবা বেসরকারি ভাবে তাৎক্ষনিক কোন সাহায্য সহযোগিতা কিংবা বরাদ্ধের বিষয়টাও। অথচ আমরা প্রায়শই দেখি এমন মানবিক বিপর্যয়ে তাৎক্ষনিক সহযোগিতায় অনেকে এগিয়ে আসেন। কিন্তু রামগতির এ ট্রাজেডির বেলায় ভিন্নতা দেখছি।

স্থানীয় প্রসাশন নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আমরা সংবাদ মাধ্যমে জেনেছি। আমরা চাইব উপজেলা প্রসাশন যেন এ দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর পাশে খুব দ্রুত দাঁড়ান।

আমরা আশাবাদী হই স্বপ্ন নিয়ে’র মতো মানবিক সংগঠন আছে বলে। অগ্নিদগ্ধদের ঢাকায় আনা, বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করানো, মৃতদের গ্রামে পৌছানো, চিকিৎসা সেবার তদারকি-এর সবগুলোতেই তৎপর থেকেছে স্বপ্ন নিয়ে’র ইউনিট। সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এখনও পাশে আছেন তাঁরা।

ছোট বড় আরো দু একটি সামাজিক সংগঠন টুকটাক সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছেন। চেষ্ঠা করছেন কেউ কেউ। সর্বপোরি এত বড় একটি দুর্ঘটনা ট্র্যাকল করা সামাজিক সংগঠন গুলোর পক্ষে অনেক কষ্ট সাধ্য। তারা দেশবাসীর কাছে একাধিক বার বিভিন্ন ধরনের সাহায্য চেয়ে আবেদন নিবেদন করে যাচ্ছেন।

রামগতির ইতিহাসে এমন মানবিক বিপর্যয়ে পাশে থাকার জন্য স্বপ্ননিয়ে টিমকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বরাবরেই মতোই তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। স্বপ্ন নিয়ে’রা আছে বলেই আমরা এখনো ধ্বংসস্তুপে মাথা তুলে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা রাখি।