ঝুঁকি নিয়ে আলেকজান্ডার—ভোলা নৌরুটে ট্রলারে যাত্রী পারাপার

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২১
ট্রলার আসার অপেক্ষায় ভোলাগামী যাত্রী

দেশালোক:
আলেকজান্ডার —ভোলা নৌরুটে চলছে যাত্রীবাহি ট্রলার। কঠোর লকডাউনে দুরপাল্লার অন্যান্য গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে যাত্রী বহন করছে এসব ট্রলার। জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে ৪০০—৫০০ টাকা। প্রতিদিন আলেকজান্ডার ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে একাধিক ট্রলার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ঢাকা চট্টগ্রামসহ ভিবিন্ন স্থান থেকে ভোলামুখী যাত্রীরা আসছে আলেকজান্ডার লঞ্চ ঘাটে। ঈদমুখো এসব যাত্রীরাও নিরুপায় হয়ে ট্রলারে চড়ে বসছে। পনের থেকে বিশজন ধারন ক্ষমতা থাকলেও বহন করা হচ্ছে ষাটজন করে। অতিরিক্ত এ যাত্রীবহনের ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও।
স্থানীয় প্রসাশনকে ফাঁকি দিতে ট্রলার চালকরা হচ্ছেন কৌশলী। দরদাম ঠিক করে পাশের দোকানে অপেক্ষায় থাকতে বলে যাত্রীদের। ষাটজন পুর্ন হলেই ছেড়ে যাচ্ছে এসব ট্রলার। দিনে দুপুরে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হলেও আইন শৃঙ্গলা বাহিনীর কারো তৎপরতা দেখা মেলেনি।
ঝুঁকিপুর্ণ ভাবে যাত্রী পারাপার করা বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জানান, নদীতে মাছ ধরা বন্ধ গতো দু মাস। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছি। তাই বাধ্য হয়ে ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পারাপার করছি।
নোয়াখালী থেকে আসা আবদুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তি নিজের বউ বাচ্চাকে ভোলায় পাঠাতে এসেছেন লঞ্চঘাটে। জানতে চাইলে বলেন, ঈদে বউ বাচ্ছাকে দেশে পাঠাতে এসেছি। এখন দেখি লঞ্চ নেই। তাই বাধ্য হয়ে ট্রলারে তুলে দিচ্ছি। আমি ঈদের আগেরদিন যাবো।
জানা যায়, চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টা সময় লাগে এসব ট্রলার ভোলা দৌলতখাঁ পৌছতে। ছাদ খোলা এসব ছোট ট্রলার হালকা বাতাসের কবলে পড়লে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও আছে রোদ, বৃষ্টির শংকাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আবদুল মোমিন জানান, লঞ্চঘাট দিয়ে ট্রলারে যাত্রী বহন —এমনটি হওয়ার কথা নয়। তারপরেও বিষয়টি আমি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।