বেড়ীবাঁধ প্রকল্প সেনাবাহিনী দিয়ে না করানোর গুঞ্জন ভাইরাল

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২১

দেশালোক: রামগতি উপজেলা চরগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমনের একটি পোস্ট গতকাল সোস্যাল মিড়িয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মেঘনা তীর সংরক্ষন প্রকল্প কাজে বেড়ী বাঁধ নির্মানের কাজ সেনাবাহিনী দ্বারা না করানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি দীর্ঘ একটি পোস্ট নিজ ওয়ালে তথ্য বহুল একটি লেখা পোস্ট দেন। মুহুর্তেই সে পোস্ট ভাইরাল হয়েছে স্যোসাল মিড়িয়ায়।

রামগতি-কমলনগর উপজেলার মেঘনা উপকূলে ভাংগন রোধে গত ১জুন একনেক সভায় প্রায় তিনহাজার একশ কোটি টাকার বরাদ্ধ হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এমন অবস্থায় কাজটি সেনাবাহিনীকে না দিয়ে সাধারন ঠিকাদারকে দিয়ে করানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে উক্ত পোস্টে উল্লেখ করা হয়- এ ধরনের কাজগুলো বাস্তবায়নের দুটি প্রক্রিয়া রয়েছে… OTM (Open Tender Method) এবং DPM (Direct Procurement Method). বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দিয়ে কাজটি করাতে হলে অবশ্যই আমাদের ৩১০০ কোটি টাকার এ DPP (Development Project Profile) কে DPM( Direct Procurement Method) প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের এই ৩১০০ কোটি টাকার DPP/ প্রকল্পটিকে DPM প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে নাই। আমরা যতদূর জানি পানি উন্নয়ন বোর্ড খুব দ্রুত OTM এর মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ তাদের মনোনীত নিন্মমানের ঠিকাদার দ্বারা করানোর প্রক্রিয়া করছে।

ফেসবুকে এ বিষয়টি ভাইরাল হলে নেটিজেনদের শুরু হয় নানান মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ এমন অপতৎপরতার নিন্দা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। স্যোসাল মিড়িয়ায় পোস্ট হওয়া এমন শত পোস্ট থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো:

খোয়াইব হোসাইন অরিদ নামের একজন লেখেন, রামগতি কমলনগর এর নদী বাঁধের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে করা হোক এটা আমাদের প্রাণের দাবী। অন্যথায় আমরা আবার আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত।

হাবিবুর রহমান রাজু লেখেন, ক্ষমতায় থাকলে আপনাদের আরো বহু বাজেট হবে সেখান থেকে পেট ভরে খেয়ে নিবেন। তবে রামগতি কমলনগরের নদী বাধেঁর কাজের জন্য বরাদ্ধ টাকার প্রতি লোভ না করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা কাজ টা সবাই মিলে করানোর চেষ্টা করুন জনগন আর যায় হোক আপনাদের মনে রাখবে। যারা টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করাতে চান আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

রামগতি-কমলনগর অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরামের সাধারন সম্পাদক মাসুদ সুমন তার ওয়ালে লেখেন, রামগতি কমলনগর এর নদী বাঁধের কাজ সেনাবাহিনী না দিয়ে টেন্ডার দিয়ে করানো হলে ওই কাজ আমরা চাইনা।
কাফনের কাপড় নিয়ে প্রস্তুত আছি আমাদের লাশের উপর দিয়ে টেন্ডার বাজি করিয়েন।

উপজেলা ছাত্রলীগে সাধারন সম্পাদক মো: সাদ্দাম হোসাইন লেখেন, রামগতি-কমলনগরের নদী ভাঙ্গন রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৩১০০ কোটি টাকার কাজ সেনাবাহিনী দ্বারা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ দাবি শুধু আমার একার নয়, রামগতি-কমলনগরের সাধারণ জনতার।গুটি কয়েক লোভী, চাটুকার, ধান্দাবাজরা তাদের কথিত পার্সেন্টিজ নেওয়ার জন্য ঠিকাদার দিয়ে কাজ করতে অন্ধকারে ষড়য়ন্ত্র করে যাচ্ছে। এখনই সময় এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক শাহ মো: রাকিব তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, অনেকের ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বুঝলাম রামগতির নদীর কাজ সেনাবাহিনী মনে হয় করছে না, OTM পদ্ধতিতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। হায়রে রামগতির পর্দার আড়ালের রাজনীতি।

প্রকল্পটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আবদুজ্জাহের সাজু ভাইরাল হওয়া গুঞ্জন নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, দু:খের বিষয় কিছু কুচক্রীমহল বিভিন্ন রকম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলে নদী ভাঙ্গা কাজ সেনাবাহিনী দিয়ে হবেনা। আল্লাহর নাম নিয়ে বলি আমাদের নদী বাঁধের কাজ সেনাবাহিনী দিয়ে হবে আপনারা কারো কথা কান দিবেন না । সেনাবাহিনী দিয়ে কাজ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে অবহিত করা হয়েছে । আর আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমাদের নদী ভাঙ্গা গরীব দু:খী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য যেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে কাজটি করাতে পারি । আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।