রামগতি পল্লী বিদ্যুতের অসংলগ্ন বিলে অসন্তুষ্ট গ্রাহক

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২১

সারোয়ার মিরন:

আফলাতুন মাহমুদ ছোটন। বাস করেন রামগতি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে। দু সদস্যের পরিবারে একটা মধ্যম সাইজের রেফ্রিজারেটর এবং দুবেলা মিনিট দশেক হাফ ঘোড়া মোটরে পানি উঠে। জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪০০০ টাকা।

যোবায়ের হাসান। রামগতি পৌরসভার নুরিয়া হাজীরহাট বাজারের একজন ব্যবসায়ী। ফটোকপি মেশিন চালান একটি দৈনিক ঘন্টা খানেক। অন্য মাসে ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যে বিল এলেও জুন জুলাই মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১১০০টাকার উপরে।

রামগতি বাজারে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক যাদব চন্দ্র দেবনাথ। অন্যান্য মাসে ৩০ থেকে ৪০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে মে মাসে বিল হয়েছে ৮০ ইউনিট।রামগতি উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসে দেড়শো টাকা ভাড়া দিয়ে ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষা করে ৩৫ ইউনিট বিল করে জমা দিয়ে গেছেন।

গতো দু তিন মাস ধরে এমন অসংখ্য গ্রাহক প্রতিনিয়তই হাজির হচ্ছেন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ নিয়ে।সবারই অভিযোগ মিটার রিডাররা না দেখে ইউনিট লেখায় এ ভুঁতড়ে বিল আসছে। যার ফলে নিয়মিত বিলের পাশাপাশি ৫০ইউনিটের পর বাড়তি বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে।অসংলগ্ন এসব বিল সংশোধন করতে গুনতে হচ্ছে যাতায়াত বাবদ অতিরিক্ত খরচ। সমাধান পেতে ক্ষেত্র বিশেষে প্রমানসহ করতে হচ্ছে আবেদনও।ফলে পোহাতে হচ্ছে বাড়তি ঝামেলা।

প্রতিবেদকের নিকট আসা সবকটি অভিযোগেই দেখা গেছে বর্তমান মিটার রিডিংয়ের সাথে বিলের করা রিডিংয়ের কোন মিল নেই। নেই গতো কয়েক মাস হারে গড়পড়তা বিলও। যার ফলে গ্রাহকরা হচ্ছেন বিক্ষুদ্ধ। তাদের অভিযোগ রামগতি উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালিপনা।

চর হাসান হোসেন এলাকার গ্রাহক মো: ইউছুফ বলেন, এক বছরে ৩/৪বার অতিরিক্ত বিল আসার ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ জানালে সমাধান পাই। কিন্তু এভাবে আর কতো ঝামেলা পোহাতে হবে । আমরা ভুঁতুড়ে ও আজগুবি বিল থেকে মুক্তি চাই।

রামগতি পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) মো: রেজাউল করিম জানান, কোভিড-১৯ মহামারি এবং প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় এমনটি হতে পারে। গ্রাহকরা অভিযোগ করলে আমরা তা দ্রুত সমাধান করে দিচ্ছি।