রামগতিতে আড়াই কেজি পেঁয়াজ দেড়শো টাকা!

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২১

সারোয়ার মিরন:
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় পিকআপ এবং অটো রিকসায় ফেরি করে মুদি মালামাল বিক্রি দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রি উপজেলার প্রতিটি রাস্তাঘাটে মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে। সাথে দেয়া হচ্ছে হরেক রকম মূল্য ছাড় এবং অফার। সেই সাথে রয়েছে ফ্রি গিফট সামগ্রীও।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে রসুন, পেয়াজ, লবন, সয়াবিন তেল, আলু, মুসুরের ডাল, নুডলস, ডিটারজেন্ট, চিনি ইত্যাদি। দামে ছাড় পাওয়ায় ক্রেতারা কিনছে এসব পণ্য সামগ্রী।

আড়াই কেজি রসুন ১০০ টাকা, সাত কেজি আলু ১০০টাকা, চিনি ৬০টাকা, আড়াই কেজি পেঁয়াজ ১৫০টাকা, সয়াবিন তেল ১১০টাকা, ১কেজি ডিটারজেন্ট ৯৫ টাকা, ৫০০গ্রাম নুডলস প্যাক ১০০টাকা, পাঁচ কেজি প্যাকেট লবন ১০০টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

একাধিক পণ্য সামগ্রী একত্রে প্যাকিং করে প্যাকেজ আকারেও বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাত কেজি আলু ১০০টাকা এবং আড়াই কেজি রসুন ১০০ টাকার প্যাকেজ। ৫০০ টাকার প্যাকেজে আড়াই কেজি রসুন, আড়াই কেজি পেঁয়াজ, পাঁচ কেজি লবন, সাত কেজি আলু এবং এক প্যাকেট নুডলস্ রয়েছে।
চর রমিজ ইউনিয়নের আদর্শ এলাকায় পিকআপ ভ্যানে বিক্রি করা সালাউদ্দিন জানান, আমরা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উৎপাদকের কাছ থেকে বেশি পরিমানে এসব পণ্য সামগ্রী ক্রয় করায় গ্রাহকদের মধ্যে কম দামে বিক্রি করতে পারছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, গতো তিন মাস ধরে এসব পণ্য বিক্রি করছেন তারা। এসব পণ্য বিক্রি করার জন্য রামগতিতে ৭/৮টি টিম রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ ভ্যানে, কেউ অটো রিকসায় আবার কেউ পিকআপ ভ্যানে পণ্য বিক্রি করছেন। প্রতিদিনের বেচা-বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, পিকআপ ও ডাইভার, মাইক ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে ২/৩ হাজার টাকা লাভ থাকে।

স্থানীয় সাধারন ব্যবসায়ীদের বাধা কিংবা প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের সাথে কারো কোন বিরোধ বা প্রতিযোগিতা নেই। কারো বাধার মুখেও পড়তে হয়না। আমরা আমাদের কৌশলে স্বল্প মূল্যে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করছি। রাস্তা ঘাটেও কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন না। রাস্তায় দিতে হয়না কোন চাঁদা বা সেলামীও।

উপজেলার আলেকজান্ডারে গুদামজাত করে বিভিন্ন এলাকায় ভ্যান ও পিকআপে করে নিয়ে যাওয়া হয়। ল²ীপুরের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও চাঁদপুর এবং নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও তাদের এ বেচা-বিক্রি চলে। তবে সাপ্তাহে একদিন যাওয়া হয় এসব এলাকায়।
বাজারমূল্যের চাইতে কম দামে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি। তেমনই একজন শাহেদা বেগম। তিনি জানান, বাজারের দাম থেকে ৩০/৪০টাকা কমে কিনতে পারি। বাড়ির দরজায় এসে তারা দিয়ে যায়। পণ্যের মানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ডিটারজেন্ট এর মান কিছুটা কম থাকলেও অন্য গুলো ঠিক আছে।

আরেক ক্রেতা আবদুল আলী জানান, দামে সস্তা হওয়ায় নিয়মিত তিনি পিকআপ ভ্যান থেকে মুদি মাল কিনছেন। মাইকের আওয়াজ শুনলেই তারা রাস্তায় এসে নগদ দামে কিনে নিচ্ছেন। অবশ্য পণ্যের মান সম্পর্কে তার কোন অভিযোগ নেই।
সহজলভ্য এবং দামে কম হওয়ায় পিকআপ ভ্যান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বিক্রেতারাও বিক্রির তালিকায় যুক্ত করছেন নতুন নতুন পণ্য।