রামগতিতে কাল থেকে শুরু টিসিবি পণ্য বিক্রি: নয়-ছয় করলেই ব্যবস্থা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২২

দেশালোক:
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সরকার ঘোষিত টিসিবি পণ্য রামগতিতে বিক্রয় শুরু হবে আগামীকাল (রোববার)। রামগতিতে এ পণ্যের আওতায় আসবেন ২৭ হাজার ৯৯টি পরিবার। প্রথম দিনে রামগতি পৌরসভার ১২৩৯টি পরিবারের জন্য তিনটি কেন্দ্রে এ পণ্য বিক্রয় করা হবে। কেন্দ্র গুলো হচ্ছে— রামগতি পৌরসভা কার্যালয়, আশ্রম বাজার এবং নুরিয়া হাজীরহাট।

১৯ মার্চ (শনিবার) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়নে ২জন ডিলারের অধীনে ২৯টি স্থানে স্বল্পমূল্যের এ টিসিবি পণ্য বিক্রয় করা হবে। পৌরসভা এবং ইউনিয়ন গুলোতে ডিলার প্রতিনিধির পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা একজন করে ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত থাকবেন।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকতার্ আরো জানান, প্রতিটি উপকারভোগী ২কেজি চিনি, দু কেজি মশুরের ডাল এবং ২লিটার করে সয়াবিন তেল এ সুবিধায় ক্রয় করতে পারবেন। প্রতি কেজি চিনি ৫৫টাকা, মশুরের ডাল ৬৫টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা করে সর্বমোট ৪৬০টাকার পণ্য ক্রয় করতে হবে।

উপকারভোগীদের মধ্যে রামগতি পৌরসভায় ২৪৭৭টি, ২নং চরবাদাম ২৬৬৩টি, ৩নং চরপোড়াগাছায় ৩৮৮৯টি, ৪নং চরআলেকজান্ডারে ৪০৪৪টি, ৫নং চরআবদুল্ল্যায় ৭৯৮টি, ৬নং চরআলগীতে ৩১২৭টি, ৭নং চররমিজে ৩৮১৮টি, ৭নং বড়খেরীতে ২১৬৩টি এবং ৮নং চরগাজী ইউনিয়নে ৪১২০টি পরিবার এ সুবিধার আওতায় আসবেন। ইউনিয়ন গুলোতে পণ্য বিক্রির তারিখ পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।

সকাল নয়টায় শুরু হয়ে একটানা উপকারভোগী থাকা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। কার্ডধারী উপকারভোগী না পাওয়া গেলে পণ্য থাকা সাপেক্ষ্য ইচ্ছুক নিম্ন আয়ের যে কেউ এ পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই রেজিস্টার সংরক্ষন করতে হবে। কোনভাবেই একজন উপকারভোগী একাধিকবার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন না।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী আরো জানান, কোন ভাবেই এ পণ্য প্রকৃত উপকারভোগী কিংবা নিম্ন আয়ের মানুষ ছাড়া অন্য কেউ ক্রয় বা মজুদ করতে পারবেন না। এমন তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।