পরিচালনা কমিটি বাতিল এবং শিক্ষক বহিষ্কারের দাবি কলাকোপা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ৮, ২০২২ দেশালোক: বর্তমান পরিচালনা কমিটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে এ কমিটি বাতিল এবং মাদরাসার এক শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা জামেয়া ইসলামীয়া কলাকোপা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ দুটি দাবিসহ নানান অনিয়ম তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ৭ জুন (বুধবার) দুপুরে রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাধারন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য দেন মো: ইসমাইল হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানে একটি মজলিসে শুরা কমিটি থাকার কথা থাকলেও জামেয়া ইসলামীয়ায় এ নিয়ম মানা হয়নি। এছাড়াও কয়েকজন লোক দিয়ে একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। যা সম্পুর্নভাবে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা পরিপন্থী। একই পরিবারের ৫ সদস্যকে পরিচালনা কমিটির সদস্য নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানকে পরিবারতন্ত্র বানিয়ে তোলার অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, পরিচালনা কমিটির সদস্য ইলিয়াস, রিয়াজ, সোলাইমান সহ ৫ সদস্য মাদরাসাকে নিজেদের কব্জায় নিতে এমন অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, মাদরাসার বর্তমান মোহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ আলী একজন বড় মাপের আলেম। দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর যাবত এ মাদরাসায় সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন। এর আগে তিনি এ মাদরাসায় নায়েবে মোহতামিমের (ভাইস প্রিন্সিপাল) দায়িত্ব পালন করেছেন। অবৈধ এ পরিচালনা কমিটির ইলিয়াস, রিয়াজ ও সোলাইমান কথায় কথায় ছাত্রদের নানা ভাবে হুমকি ধমকি দেয়া ও ছাত্রদের নাম কেটে দেয়ার হুমকি প্রদানসহ মাদরাসার উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছেন। এ কমিটির যোগসাজসে স্থানীয় একটি মহল মাদরাসাটির সুনাম ও ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরা কিছু দিন পর-পর বিভিন্ন কাল্পনিক অজুহাত তুলে সোস্যাল মিডিয়াসহ নানা ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তোলেন। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও শিক্ষকদের সাথে অশালীন আচরণসহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ করেন তারা। এছাড়াও মাওলানা আখতার হোসেন নামের এক শিক্ষককে এক বছর পূর্বে অব্যাহতি দিয়ে আবার তাঁকে স্বপদে বহাল করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিড়্গার্থীরা। তারা বলেন, অনতিবিলম্বে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে কওমি মাদরাসার নীতিমালা অনুযায়ী মজলিসে শুরা গঠন করে মাদরাসা পরিচালনার দাবী জানানো হয়। এ দাবী না মানলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি দিবেন বলে সংবাদ সম্মেলন জানান। এসব অনিয়মের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ছাত্ররা। উল্লেখ্য, শিশু শ্রেণী থেকে দাওরায়ে হাদীস টাইটেল (মাস্টার্স) পর্যত্ম পাঠদান করা হয় এ মাদ্রাসায়। পাশাপাশি হেফজ বিভাগ ও বিশাল একটি এতিমখানা রয়েছে এখানে। এছাড়াও ছাত্রাবাসে ৫ শতাধিক গরীব অসহায় ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য রয়েছে সম্পুর্ন আবাসিক থাকা-খাওয়ার সু ব্যবস্থা। বর্তমানে ৩৪ জন শিক্ষক, ৭ জন কর্মচারীর তত্বাবধানে প্রায় ৯শতাধিক ছাত্র এখানে অধ্যায়ন করছেন। আবাসিকে ছাত্র নিয়মিত থেকে খেয়ে এলমে দ্বীনের অনুশীলন করছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে ২২ জন দাওরায়ে হাদীশ (মাস্টার্স) বিভাগ থেকে খতমে বোখারী সম্পন্ন করেন। স্থানীয় চরবাদাম ইউনিয়নের চরকলাকোপা গ্রামে ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদরাসাটি। বৃহত্তর নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসনীয়। SHARES উপকূল বিষয়: