করোনায় প্রযুক্তির মেলবন্ধনঃ অভ্যস্ত হতেই হবে

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২

সারোয়ার মিরনঃ

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস বিলীন হচ্ছেনা! হবেও না! পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনাকে মানিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর আগে যে কাজ গুলো বাসায় বসে করা সম্ভব হতো না (অভ্যস্ত ছিলাম না) এখন সে কাজ গুলোই আমরা বাসায় বসে দিব্যি চালিয়ে নিচ্ছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাসায় বসেই জাতিসংঘে ভাষন দিচ্ছেন, অনলাইনে কোর্ট বসছে, অনলাইনে সচিবালয় মিটিং করছে, অনলাইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস হচ্ছে, অনলাইনে কেনাকাটা বাড়ছে, অনলাইনে পরীক্ষা হচ্ছে, অনলাইনে ভাইবা হচ্ছি… ইত্যাদি।

তার মানে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছি। হয়ে উঠছি। ধীরে ধীরে ব্যবহার শিখছি, অভ্যস্ত হচ্ছি। এ যেমন আগে কেউ মাক্স পরলে অনেকে হাসতো, বুলিং করতো! আর এখন পারলে তিন চারটা একসাথে পরে! প্রযুক্তিটাও এমন।

আগে ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল দিতে চাইতো না কেউ, এখন অভিভাবকরাই তুলে দিচ্ছে স্মার্টফোন। ধারনা করা হচ্ছে, করোনাকালীন সময়ে স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে। সাথে ডাটা প্যাকেজ কেনার হারও!

এখন আপনি আমি চাইলে সন্তানদের হাত থেকে স্মার্টফোন কেড়ে নিতে পারবো না। ইন্টারনেট তথা সোস্যাল মিড়িয়া থেকে দুরে রাখতে পারছি না। তাহলে করনীয় কি! এখন আপনাকে ট্রাই করতে হবে তাদেরকে কিভাবে ভালো ট্র্যাকে তাকে রাখা যায়। কিভাবে সে ইন্টারনেটের প্রপার ইউটিলাইজ করে!

ইচ্ছে করলেই আপনী আপনার সন্তানের অনলাইন ব্যবহারকে নজরদারিতে রাখতে পারবেন। সে কোন সাইটে, কোন এ্যাপ্সে কতক্ষন সময় ব্যয় করছে তা আপনি দেখতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় সাইট বা লিংকে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিতে পারেন।

আপনি সন্তানকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক, বিজ্ঞানী, বিসিএস ক্যাডার বানাবেন অথচ তাকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দিবেন না! তা ক্যামনে হয়! তাকেও তো জানতে হবে আদি অন্ত! পৃথিবীর সাথে কানেক্টিভিটি না থাকলে সে জানবে কিভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাক্তার কে এবং কিভাবে কাজ করছে! সন্তানকে গনিতে দক্ষ করাতে চান কিন্তু তাকে যুক্ত হতে দিচ্ছেন পৃথিবীর সেরা গণিতজ্ঞের সাথে!!

মোদ্দাকথা, আপনাকে প্রযুক্তি জানতে হবে। সন্তানকেও ব্যবহার শিখাতে হবে। বৈশ্বিক এ সংকটে শিক্ষা ব্যবস্থা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম দ্রুত পাল্টাচ্ছে! ডিজিটালাইড হচ্ছে খুব দ্রুত। এগিয়ে থাকতে হলে আপনাকেও এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নাক সিঁটকানোর কোন সুযোগ নেই।

পৃথিবীর সংজ্ঞা এখন দেশে দেশে বিভক্ত নয়। পৃথিবীই এখন একটা উন্মুক্ত দেশ। বাংলাদেশ এর একটা পার্টমাত্র। ডলার কামাতে, পড়ালেখা, জব, কেনাকাটা, লেনদেন করতে বিদেশ যেতে হয়না। ঘরে বসেই করা যাচ্ছে এখন। দিনে দিনে এ ডিজিটালাইজ আরো দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাবে। সো আপনাকে এ গড্ডালিকায় পা বাড়াতেই হবে।

করোনা ভাইরাস একদিকে মহামারি হলেও অন্যপিঠে দারুন এক প্রযুক্তিময় বিশ্বের সূচনা করে দিয়েছে। অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। অনেক অনভ্যাসতাকে অভ্যাসে রুপান্তরিত করে দিয়েছে। খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার নতুন দ্বার।

আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তির। ইন্টারনেটময়! বিশ্বাস না হলে ভাবুন তো! আমাজন, গুগুল, মার্ক জাকার্বাগ, বিলগেটস্ ইত্যাদি কিভাবে পৃথিবীর আর্থিক আবর্তে ছড়ি ঘোরাচ্ছে!!

— সারোয়ার মিরন