রামগতিতে মাত্র ৮মাসে হাফেজ হয়েছেন ওমর ফারুক

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৫

সারোয়ার মিরন:
মাত্র দুই মাসে নাজেরা এবং ৮মাসের মাথায় কুরআনে হাফেজ হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ওমর ফারুক আদনান (৮)। এমন খবরে উপজেলা জুড়ে খুশি আর শুকরিয়া জ্ঞাপনের আনন্দ । চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজ গ্রামের বাসিন্দা জিয়া উদ্দিন রানার বড় ছেলে এ হাফেজ ওমর ফারুক।

মাদরাসা ও পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, ২০২৪সালের মাঝামাঝি ওমর ফারুক ভর্তি হয় রামগতি পৌরসভার আলেকজান্ডার খন্দকার সড়কের আলেকজান্ডার দারুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার হিফজ্ বিভাগে। মাত্র আট মাসের মাথায় সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হয়েছে সে। চলমান পবিত্র মাহে রমজানে ওমর ফারুক মাদ্রাসায় খতমে তারাবীহ পড়ানোর প্র্যাকটিস করছেন। সে রাজধানীর তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার অধীনে বিশ্ব হাফেজ প্রতিযোগিতার সুযোগ পেয়েও অংশ নিতে পারেনি অসুস্থতার কারনে। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে পেয়েছে নানান সম্মাননা ও স্বীকৃতি। ৮বছর বয়সে মাত্র আট মাসে কুরআনে হাফেজ হওয়ায় বেশ খুশি তার সহপাঠী, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা।

হাফেজ ওমর ফারুক জানান, মহান আল্লাহর সহযোগিতা, শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ ও বাবা-মা’র দোয়া এবং নিজের প্রচেষ্টায় হাফেজ হয়েছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই যেন আলেম হয়ে ইসলামের খেদমতে ভূমিকা রাখতে পারি।

ওমরের বাবা জিয়া উদ্দিন রানা জানান, আমার দুই ছেলের মধে সে বড়। তার দাদী ও মায়ের ইচ্ছায় হিফজ বিভাগে ভর্তি হয়ে মাত্র আট মাসে হাফেজে কোরআন হয়েছে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই ছেলের জন্য যেন সে একজন ভালো আলেম হয়ে ইসলাম তথা দেশবাসীর খেদমত করতে পারেন।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা শাহাদাত হোসেন জামিল জানান, ওমর ফারুক ভর্তি হওয়ার পর সে প্রথম প্রথম দুই—তিন পৃষ্ঠা করে পড়া মুখস্ত করতে পারে। মনোযোগি ছাত্র হওয়ায় কয়েকদিন পর থেকে সে দৈনিক দশ থেকে পনের পৃষ্ঠা করে ইয়াদ করতে পারত। বন্ধের সময় কিংবা ছুটির সময় যখন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করতো তখনও সে কোরআন পড়ত। আমি তার জন্য দোয়া করি যেন সে বিশ^সেরা আলেম হয়ে দ্বীনের খেদমত করতে পারে।

উল্লেখ্য, আলেকজান্ডার দারুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হয় ২০২১সালে। এর অন্য একটি শাখা রয়েছে আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজগ্রামে। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় আবাসিক ১০৭জন, অনাবাসিক শাখায় ১০৮জন শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। এর মধ্যে হিফজ্ বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্য ৬৭জন। মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৯জন। এ পর্যন্ত মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়েছেন ১১জন শিক্ষার্থী। চলতি শিক্ষাবর্ষে হাফেজ হবেন আরো ১৫জন। প্রতি বছরই এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান মাদ্রাসা পরিচালক।

নুরানি, হিফজ্ এবং কিতাব- এ তিনটি বিভাগে মাদ্রাসায় পাঠদান করা হয়।