রামগতিতে ৭ সনাতন পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ দেশালোক: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১০ বছর আগে জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে দলিল না দিয়ে উল্টো সাত সংখ্যালঘু পরিবারকে বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা ও হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ওছখালী এলাকায়। ভুক্তভোগি ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার গীতা চন্দ্র দেবনাথের ছেলে সবুত চন্দ্র দেবনাথ, দিলিপ চন্দ্র দেবনাথ, মেয়ে বানু চন্দ্র দেবনাথ এবং বেছু চন্দ্র দেবনাথের ছেলে বিমল চন্দ্র দেবনাথ, মেয়ে আল্পনা চন্দ্র দেবনাথ, এবং হীরা লাল দেবনাথের ছেলে রমেশ চন্দ দেবনাথ, নিবারন জলদাসের চেলে মনোরঞ্জন জলদাস স্থানীয় নুর মোহাম্মদ ফরায়েজি থেকে ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২৪ ডিসিমেল জমি ৮০হাজার টাকা মুল্যে ক্রয় করেন। সে সময়ই বেশ কয়েকজনকে স্বাক্ষী রেখে জমির দাম বাবদ ৭০হাজার এবং ২০১৭সালে ১০হাজার টাকা পরিশোধ করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, মেঘনার ভাংগন কবলিত হওয়ায় সে সময় জমির দাম কম ছিলো। দলিল দিতে বিভিন্ন সময় বললেও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এমন অযুহাতে বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ দলিল দেননি। উক্ত জমিতে গত ১০বছর যাবত তারা ৭টি পরিবার স্থায়ী ভাবে বাড়ি ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। গত বছরের বন্যায় দুটি ঘর ভেংগে পড়লে তা মেরামত করতে গেলে বাধা দেন তার দু ছেলে মো. হাসান এবং মো. ইসমাইল। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছুদিন আগে ওই এলাকায় নদী বাঁধের কাজ শুরু হলে বিক্রি করা জমি পুন: দখল নিতে অপচেষ্টা চালান নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলেরা। সর্বশেষ ২৬মে, শনিবার বিকেলে হাসানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে তাদের বাড়ির বেশ কয়েকটি গাছে কেটে ফেলেন। রান্নাঘর, টয়লেট ভেংগে দেয় তারা। টাক্টরট্রলিতে করে মাটি এনে বাড়ির দক্ষিণ পাশ ভরাট করছেন। বাধা দিতে গেলে অসহায় পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে মারদোর করছেন বলেও ভুক্তভোগিরা জানান। তারা আরো জানান, স্থানীয় গণ্যমান্যদের বিষয়টি জানালে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ রাখে হাসান। প্রভাবশালী হওয়ায় নুর মোহাম্মদের পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না স্থানীয়রাও। তবে অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জমিটি বিক্রির বিষয়টি সত্য। এখন নদীবাঁধ হওয়া ও জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা দখল নিতে চায়। এ বিষয়ে জানার জন্য নুর মোহাম্মদ এবং তার ছেলে হাসানের সাথে কথা বলতে চাইলেও সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. জমির জানান, জমিটি তারা বিক্রি করেন নি। এসব পরিবারের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করেছেন তারা। মহামান্য আদালতের রায় পক্ষে আছে বলেও জানান তিনি। তাই আমরা দখল নিচ্ছি। তবে ভাড়া দেওয়া কিংবা মহামান্য আদালতের রায়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি তিনি। রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. কবির হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে। SHARES উপকূল বিষয়: