দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন

বাবু’র মৃত্যুতে ফেসবুক জুড়ে শোকবার্তা

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সফিউল বারী বাবু’র (১৯৭১-২০২০) মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জুড়ে দেখা গেছে শোকবার্তার পোস্ট। দল মতের উর্ধ্বে এসে নানান শ্রেনি ও পেশার মানুষ জানিয়েছেন সমবেদনা। প্রায় প্রতিটি পোস্টেই তাঁকে উল্লেখ করা হয়েছে অকাল প্রয়ান ও গণমানষের নেতা হিসেবে। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বাবু ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  উপজেলার সন্তান হিসেবে লক্ষ্মীপুরে রামগতির প্রতিটি নাগরিকই তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছেন।

ফেসবুকের এমন কিছু উল্লেখযোগ্য শোকবার্তা তুলে ধরা হলোঃ

সাবেক শিক্ষক আহমেদ উল্ল্যাহ সেলিম লিখেছেন- মহান আল্লাহ তোমার কাছে আমরা বড় অসহায়…আজ আমার কিছু বলার ভাষা নেই!আমি সবসময়ই বলতাম বাবু কোন নিদিষ্ট দলের নেতা ছিলো না!!বাবু সব দলের সম্পদ ছিলো!!!বাংলাদেশ তথা রামগতির মানুষ হারালো এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এ ছেলেটা রামগতির জন্য যা করছে আর কোন নেতা কখনো করতে পারবে বলে মনে হয় না!!!রামগতির ছেলেরা একজন অভিভাবক হারালো।

রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন (ভিপি হেলাল) লিখছেন- একটি স্বপ্নের মৃত্যু হলো,যে ফুল না ফুটতে ঝরে গেলো,না ফেরার দেশে চলে গেলেন আমাদের কে কাঁদিয়ে রামগতির কৃতি সন্তান জনাব সফিউল বারী বাবু ভাই,হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে যা চোখে দেখা যায় না, পরপারে ভালো থাকবেন।

সংগঠক শাকিল মাহবুব লেখেন, রামগতিবাসী আজ বড্ড অসহায়। রামগতি তার নিজের জন্মস্থান। এলাকার মানুষের জন্য তার দরজা সব সময় খোলা থাকতো। সে সময়ের ছাত্র রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। তার পরবর্তীতে নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বি এন পির রাজনীতির সাথেই তার পথ চলা চলতে থাকে। একে একে আমরা এমন গুনীজনদের, রামগতির অভিভাবক দের হারাতে শুরু করেছি। এমন মানুষের শূন্যতা পূরণ করা কখনোই সম্ভব নয়। বহু মানুষের চাকুরী বাকরি থেকে শুরু করে না না আপদ বিপদে বাবু চাচা ছিলেন অনেকের আস্থার জায়গা।

সোস্যাল এক্টিভিস্ট মাসুদ সুমন লেখেন- সবাইকে কাঁদিয়ে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন রামগতির কৃতি সন্তান শফিউল বারী বাবু।রামগতির এই কৃতি সন্তান এর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো রামগতি কমলনগর বাসী। হে আল্লাহ্, গতকাল সকলের কাছে দোয়া চাইলাম আর আজ ওনার মৃত্যুুর সংবাদ পোস্ট করছি। হে রাব্বুল আলামিন আমাদের আর কতো পরীক্ষায় ফেলবে একের পর এক প্রিয় মানুষ গুলোর মৃত্যুতে আমরা শোকের সাগরে ভেসে যাচ্ছি।

বেসরকারী চাকুরে আকবর হোসেন লিখেছেন- রামগতি -কমলনগর বাসী তাদের অভিভাবক হারালো।হে আল্লাহ প্রিয় মানুষটাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন।

তারিক আহমেদ আজিম লিখেছেন, যে ছয়জন কীর্তিমান মানুষ রামগতি ও কমল নগর উপজেলাকে জাতীয় পর্যায়ে চিনিয়েছেন, যাদের কারণে আমরা গর্ব করে বলি… আমাদের বাড়ি রামগতি কিংবা কমল নগর উপজেলায়, তাঁদের মাঝথেকে পাঁচজনই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। একজনই বেঁচে আছেন, জননেতা আসম আবদুর রব। অন্যরা হলেন- মরহুম মোহাম্মদ তোয়াহা, মরহুম ছানা উল্যাহ নূরী, মরহুম মোহাম্মদ জমির আলী, মরহুম আবদুর রব চৌধুরী এবং সফিউল বারী বাবু।

শিক্ষক ও ‍উন্নয়নকর্মী মোবারক আলী লেখেন, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।

রামগতি স্টুডেন্টস কমিউনিটি ঢাকা’র সভাপতি আবু সুফিয়ান লিখেছেন,  বাবু ভাই শুধুমাত্র রামগতির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, ছিলে সারা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার জায়গা।

স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন স্বপ্ন নিয়ে’র সাধারন সম্পাদক মীর তানভীর আহমেদ লিখেছেন, হৃদয়ে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছে ভাই। কেমন চলে যাওয়া প্রিয় মানুষের।

প্রকৌশলী শাকিল সারোয়ার খান, শফিউল বারী বাবুরা এক শতাব্দীতে একজন আসেন। আগামী একশো বছরেও একজন শফিউল বারী বাবু আর আসবে না, উনি রামগতির একজন রত্ন ছিলেন রামগতিবাসীর অনেক অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল!

উল্লেখ্য, ফুসফুসে প্রদাহজনিত কারনে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮জুলাই ভোরে মারা যান। ঢাকা এবং রামগতিসহ একাধিক স্থানে জানাযা শেষে রামদয়ালস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।