মেঘনার ভাংগনে হুমকির মুখে রামগতির বিভিন্ন এলাকা

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০

৩০ জুলাই ভোরে নিজ গ্রাম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়ের ০৭ নং ওয়ার্ডের খলিল চৌকিদার বাড়ির নদীর পয়েন্টে গিয়েছিলাম। দেখলাম মেঘনার করাল ভাংগনে ক্রমশ আমাদের গ্রামটি ছোট হয়ে আসছে। অথচ এ গ্রামটি রামগতি উপজেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। কি নেই এ গ্রামে? গ্রামটিতে প্রায় ৫হাজার লোকের বসবাস। গ্রামের বেশিরভাগ লোক কৃষি কাজের সাথে জড়িত। এছাড়া আরো আছে নানা পেশার মানুষ। গ্রামের মধ্যে যারা স্বমহিমায় উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন আলহাজ্ব এ,বি,এম আশ্রাফ উদ্দিন নিজান। যিনি বিগত দুই সেশনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। আছেন তারই পরিবারের দুই সদস্য উপ-সচিব। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এছাড়া বাঘা বাড়ির আলহাজ্ব মো: নুরুল ইসলাম পুলিশের দুই সন্তান ও এক পুত্রবধূ সরকারী কর্ম কমিশনের উচ্চপদস্থ অফিসার। 

এছাড়া গ্রামে আছে শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী। কিন্তু দু:খের বিষয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীগুলোর মধ্যে মেঘনা নদীর করাল গ্রাসে আমরা দিন দিন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি। গ্রামের দক্ষিন- পশ্চিমাংশ প্রায় ভেংগে গেছে। আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধ থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। এটুকু স্থানে বেড়ীবাঁধ স্থাপন করলে এ গ্রামসহ রামগতি অন্যতম রামদয়াল বাজার, আবদুল হাদী কলেজ, চর মেহার আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, চর মেহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুলতানা বালিকা বিদ্যালয়, চর গোসাই ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, সরকারী তহশিল অফিস, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সহ অনেক সরকারী, বেসরকারি স্থাপনা রক্ষা পাবে।

রামদয়াল বাজার এবং এর আশপাশের এলাকাসহ ভাংগন কবলিত পুরো রামগতি-কমলনগরে জরুরী ভিত্তিতে বেড়িঁবাধ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে দৃষ্টি কামনা করছি।

আবদুস সাত্তার , সহকারী শিক্ষক, চর মেহার আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রামগতি, লক্ষ্মীপুর।