কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে উপস্থিতি কমার শংকা

ঈদের ছুটিতে নির্বিঘ্ন হোক রামগতির মেঘনা বেড়ীবাঁধ

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকায় গতো ঈদুল ফিতরে লোকজনের সমাগম না থাকলেও এবার লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারস্থ মেঘনা বীচ এবং বেড়ী বাঁধ এলাকা লক্ষ্মীপুরের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। গতো কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্রিক ছুটির দিনগুলোতে এ এলাকায় দর্শনাথীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। দেশের নানান প্রান্ত থেকে আসেন পর্যটক। সাথে আছে রামগতি-কমলনগর তথা লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় জনসাধারনের ব্যাপক উপস্থিতি।
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। রামগতি বাজার এবং চর আলেকজান্ডার এলাকা মিলে প্রায় ছয় কিলোমিটার পাথুরে বেড়ী বাঁধের পূর্নাঙ্গ রুপ দেখা যাবে মেঘনার তীরে। নদী এবং এর তীর সংলগ্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপার লীলা উপভোগ করা যাবে সম্পূর্নই।
এছাড়াও রামগতির বয়ারচর, টাংকির খাল স্লুইসগেট, রামগতির বাজার সংলগ্ন বেড়ী বাঁধ, মতির হাট এবং কমলনগরের হাজীরহাটস্থ মেঘনা তীর ও বেড়ী বাঁধ এলাকায়ও দর্শনার্থীদের ব্যাপক আগমন ঘটবে।
গতো কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, বীচ এলাকায় ভালো মানের খাবারের কোন হোটেল-রেস্তরা না থাকায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের পড়তে হয় নানান বিড়ম্বনায়।  অবশ্য গতো বছর স্থানীয় কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী এগিয়ে এসেছেন। এবার এমন প্রচেষ্টা আরো বাড়বে বলে জানা গেছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারনে সার্বিক ভাবে উভয়পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা করছেন অনেকেই।
যৌন হয়রানি, ছিনতাই সিনক্রিয়েটের মতো দু একটি ঘটনা ঘটার কথা শোনা গেলেও তা নিতান্তই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেবার জন্য স্থানীয় প্রসাশন, সাংসদ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠগন গুলোর নানামুখী প্রচেষ্টা ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে এবার পূর্নাঙ্গ বাঁধ দৃশ্যমান হওয়ায় আইন শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি উপস্থিতি প্রয়োজন। গতো ঈদে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর নাম্বার সম্বলিত প্লেকার্ডসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে রামগতি পৌরসভার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন। এবারও তেমন পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানা গেছে।
আলোচ্য সমস্যা গুলো দ্রুত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। পাশাপাশি মাক্স পরিধান করাসহ শারিরিক দূরত্ব বজায় রেখে ভ্রমনে সবাকে সজাগ হওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।