মেঘনা পাড়ে লাখো উপস্থিতি- করোনা সংক্রমনের আশংকা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১৬, ২০২১
ছবিঃ মাসুদ সুমন

দেশালোকঃ কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে মেঘনা পাড়ে। উপস্থিতি অতীতের সকল রেকর্ড ভেংগে লাখো লোকের সমাবেশ। সচেতন মহলের আশংকা করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকিতে পড়তে পারে রামগতি।

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোলাইমান বলেছেন, ইতিমধ্যে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে আর কাউকে বেড়ীবাঁধ এলাকা উঠতে দেয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মোমিন বলেছেন, ঈদের দিন বিকেলে প্রচুর লোক চলে আসছে। আজ (রোববার) থেকে আর হবে না। আনসার সদস্যের একটা টীম পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে জনসমাগম বন্ধ।

ঈদের দিন এবং ঈদের পরদিন ব্যাপক সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটেছে।আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দর্শনার্থীরা মেঘনার সৌন্দর্য দেখতে আসছেন। ট্রলারে, স্পিডবোটে করে চরে ঘুরছেন।

লকডাউন জেনেও এবারের ঈদে বেড়ীবাঁধ এলাকায় হোটেল রেস্তোরাঁর সংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে স্থাপিত হয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ।

ব্যাপক জনসমাগম হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ন্যুনতম বালাই ছিলনা কারোরই। মাক্স পরতেও দেখা যায়নি।

বেড়েছে বাইকারের সংখ্যাও। বেড়ীবাঁধ এলাকায় ছবি তোলায় আছেন ত্রিশজনের একটি ফটোগ্রাফার টিম। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে ছবি তুলে দিচ্ছেন তারা।

নেয়াখালীর মাইজদী থেকে ঘুরতে আসা মোঃ সাইদ হোসেন, রিয়াদ, আজগর বলেন লকডাউন জেনেও এখানে আসছি। এতো লোক হবে ধারনা ছিলো না।

সোস্যাল এক্টিভিস্ট মাসুদ সুমন জানান, লকডাউনে এতো বেশি জনসমাগম কাম্য ছিলো না। এ ব্যাপারে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি

সোস্যাল এক্টিভিস্ট মোঃ শরীফ জানান, রামগতিতে করোনার মৃত্যু ঘটেছে। হয়তো কয়েকদিন পর হাসপাতালেও জায়গা দেয়া যাবেনা।

ব্যাপক জনসমাগম নিয়েও সোস্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা নানান মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় প্রসাশনের দুর্বলতাও দেখছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে প্রসাশনের কড়াকড়ি আরোপের কথাও বলেছেন।