রামগতি বাজারে বেড়ীবাঁধে সেনাবাহিনীর দাবিতে মানববন্ধন

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২১

দেশালোক:  

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের অনুমোদিত প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার ১০টায় রামগতিরহাট বাজারের রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কে ‘বড়খেরী ফাউন্ডেশন’ ও রামগতি বাজার ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাষ্টার আহাম্মদ উল্যাহ সেলিম, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য  রোপেনা আক্তার, বড়খেরী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহবুব আলম নয়ন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ এবং বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীর বিকল্প নেই। রামগতির আলেকজান্ডারে ২০১৫ সালে সেনাবাহিনী দিয়ে নির্মিত বাঁধ টেকসই হয়েছে, সেটি এখন পর্যটন কেন্দ্র; অথচ একই সময়ে ঠিকাদার দিয়ে করা কমলনগরে তীর রক্ষা বাঁধে অন্তত ১৫ বার ধস নামে। যে বাঁধ এখন বিধ্বস্ত। যে কারণে নতুন অনুমোদিত তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর দিয়ে বাস্তবায়ন করার প্রাসঙ্গিক যুক্তি বক্তারা তুলে ধরেন। মেঘনা নদী ভয়াবহ ভাঙন থেকে রামগতি ও কমলনগর উপজেলা রক্ষায় সমপ্রতি একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।

৩১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদার নয়; টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে চায় দুই উপজেলার ৭ লাখ মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ শুরু করা ও কাজের গুনগতমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়েরন জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ও সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।

মেঘনা নদীর ভাঙন এখন আরও ভয়াবহ। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। নদী গর্ভে চলে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাট-বাজার ফসলি জমি রাস্ত-ঘাট ও সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা। সব হারিয়ে হাজার হাজার পরিবার এখন নিঃস্ব। শেষ সম্বল বাঁচাতে ঠেকসই বাঁধের আকুতি এখন এ উপকূলের মানুষের।