কমলনগর: মাতাব্বরহাট-সাহেবেরহাট সড়ক ভেঙ্গে জনদুর্ভোগ চরমে

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
আমানত উল্যাহ:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট-সাহেবেরহাট সড়ক ভেঙে ছয় মাস ধরে  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।এতে যান চলাচলের  অনুপযোগী হওয়ায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ও যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।  এ পথে পায়ে হাটাও অনেক কষ্টসাধ্য। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জনবহুল এই বেহাল সড়ক মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করাই স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।এদিকে চরম ভোগান্তিতে আছেন ঐ ইউনিয়ের শত শত পরিবার ও বাসিন্দারা।
সড়কে চলাচল কারী সিএনজি চালক রায়হান  জানান ,এসড়ক দিয়ে আমরা গাড়ি চালাই। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গাড়ি চালাতে পারছি না।
সড়কের পথচারী সফিক উল্লাহ,আযাদ উদ্দীন ও আবুল খায়ের জানান,সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ন। চলাচলের জন্য এখানে দ্রুত একটি বেইলি সেতু স্থাপন করা ও মেরামত করা খুবই দরকার।
জানা গেছে, গত জুন মাসে অস্বাভাবিক জোয়ারে মাতাব্বরহাট-সাহেবেরহাট সড়কের একটি অংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে সড়কের একটি কালভার্টের মুখের অংশও ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে যাতায়াতে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। এ অঞ্চলে কেউ অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকের উৎপাদিত ফসল হাটে-বাজারে নেওয়া যাচ্ছে না। শিশুরা স্কুলেও যেতে পারছেনা। রাস্তা না থাকায় ওই এলাকায় ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিতেও রাজি হয় না অভিভাবকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই সড়কের পূর্বপাশ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। কালভার্টে উঠার ডালাই করা রাস্তাটাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কালভার্টের বিভিন্ন অংশ। প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা ভাঙাচোরা এবং ভাঙনে সরু হয়ে গেছে। রাস্তাটি যানবাহন চলাচল অনুপযোগী। এখন সবাই পায়ে হেটেই চলাচল করে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কটির পশ্চিম পাশ প্রস্তুত করে এবং খাল পাড়ের অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে জিও ব্যাগ স্থাপনা করলে চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল খায়ের বলেন,নদী ভাংগা এলাকা হওয়ায় তার ইউনিয়ের অধিকাংশ সড়কের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট অফিসকে অবগত করেন।গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক মেরামতের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, ঐ সড়কটির বিষয় স্থানীয় চেয়ারম্যান তাকে জানিয়েছেন, তিনি উপজেলা এলজিইডি অফিসকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।