রামগতিতে সফি বাতাইন্নার অত্যাচার: এলাকাবাসীর মানববন্ধন

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪

দেশালোক:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সফি বাতাইন্না নামের এক ভূমিদস্যু বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ শনিবার সকালে রামগতি উপজেলার মীরবাজার চরদরবেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, সফি বাতাইন্না উরফে সফি ডাকাত নোয়াখালী জেলার মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা। অথচ ৪০-৫০ জন ভূমিদস্যু ও ডাকাত বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার দুর্গম চরঅঞ্চলে প্রবেশ করে জমি দখল, খাল বিল দখল ও নারী নির্যাতন সহ এলাকায় চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, গরু চুরি, ছাগল চুরিসহ নানা ধরনের চুরি ডাকাতি করে এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। তার এসব অপকর্মের কারণে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ আতংকে দিনাতিপাত করছেন। তার সেকেন্ড ইন কমান্ডার হিসেবে রয়েছেন লতা হোসেন, ইসমাইল, খোকন, মোঃ কামাল, রুহুল আমিন, নুর উদ্দিন, বেলাল হোসেন, আবুল হাসিম, মকবুল আহমেদ ও ছালাউদ্দিন অন্যতম। এদের সবার নেতা হিসেবে রয়েছেন সফি বাতাইন্না। সফি বাতাইন্না তার বাহিনী দিয়ে হরণী ইউনিয়নের বয়ারচরের গাবতলী খালের মাথা থেকে রামগতি খালের মাথা পর্যন্ত জোরপূর্বক দখল করে নেয়। ঐ জমি নল দিয়ে মেপে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে এবং বাধ তৈরী করে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করে আসছে। এতে রামগতির বয়ারচরের কয়েক’শ একর ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া গরু চুরি,ডাকাতি, চাঁদাবাজি,নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় মানববন্ধনে। ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ ভূমিদস্যু সফি বাতাইন্নার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদ উদ্দিন, মোঃ ফারুক, আবদুল বাছেত, মহিউদ্দিন, রৌশন আক্তার, তাছলিমা বেগম, আমেনা বেগম, গিয়াস উদ্দিনসহ এলাকার কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

এ ব্যাপারে সফি বাতাইন্নার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন। চরাঞ্চলের মানুষের জান মাল রক্ষা ও তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে পুলিশ বদ্ধ পরিকর। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অচিরেই এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।