শিক্ষক দিবসে শুভেচ্ছা নয় ভালবাসা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২০

সায়েম মাহমুদঃ আমার জীবনে শিক্ষকদের অবদান হাজার পৃষ্ঠা বলার মত – অনেকের মত প্রাথমিকের শিক্ষকদের প্রতি বেশি ভালবাসা বা তাদের প্রতি স্পেশাল আবেগ আমার ভিতরে তেমন কাজ করে না এর অন্যতম কারণ আমার প্রাথমিকে মারাত্বক রকম ফাঁকিবাজি।

যাইহোক শিক্ষক বলতে আমি হাই স্কুলে কিছু শিক্ষক তারপর সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজে সবমিলে ১৫ দিন গিয়েছি বলে মনে হয় না তাই তাদের কাউকে চিনিও না।

আমার সেসকল শিক্ষকদের কি যে অবদান সেটা বলার জন্য সময় খুজতেছি – নিজে বিশ্বাস করি সে সময়টা পাব।

আজকে আমি কাউকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি না বললে ভুল হবে। আসলে জানানোর সাহস পাচ্ছি না! অনেককেই দেখলাম আজকের শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের ম্যানশন দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আমার কাছে শুভেচ্ছা ব্যপারটা একটু স্পেশাল – তাই একটু ভিন্নভাবেই দিতে চাই, সময় নিয়ে।

পড়াচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম! এত এত ছেলে পেলে শুভেচ্ছা তারা কি শিক্ষক বা শিক্ষিকারা কি চায় তাদের কাছে সেটা খেয়াল করছে নাকি ফেসবুকে পোস্ট করা দরকার তাই করছে?
হঠাৎ মনে পড়ল একটা কম্পেরিজন করি। আমার সব কাজেই কম্পেরিজন ভাল লাগে তাই। খুজে পাইলাম একট।

ধরুন,  আপনি কোন এক বন্ধু বা আত্মীয় থেকে কিছু টাকা ধার নিলেন আর তা পরিশোধের দিনটাও শেষ – এমতাবস্থায় তার জন্মদিনে আপনি পাওয়া টাকা না দিয়ে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। আমার কাছে তার কর্কশ চেহারাটাই ভাসছে।

আমার মত বেকাররা যখন শিক্ষক দিবসে বসে বসে ফেসবুক পোস্ট লিখে তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তখন বাস্তবিক অর্থে শিক্ষকদের মুখটা আমার দেখতে খুব ইচ্ছে হয় – তারা কি আমার সে শুভেচ্ছা পেয়ে খুশি হচ্ছে নাকি গম্ভীর মুখ করে বলছে- হু!

আজকে আমি শুধু ভালবাসা দিব এ কারণে যে ভালবাসা একমুখী হলেও সমস্যা নেই। কিছু তো ফেরত চাচ্ছি না। কিন্তু তাদের আমি শুভেচ্ছা জানালাম বিনিময়ে তাদের মনের দুঃখটা বহুগুন বেড়ে গেলে সে শুভেচ্ছা জানাতে অন্তত আমি প্রস্তুত নই।

প্রিয় স্যার-
আপনাদেরকে আজ শুধু ভালবাসাই দিচ্ছি। সেদিন শুভেচ্ছা জানাব, যেদিন আপনাকে নিয়ে আমার কোন আচরণ বা একটা উক্তি আপনাকে আপ্লুত করবে৷ আমার পোস্ট যেদিন আপনাদের কমেন্টে ভরপুর হওয়ার যোগ্য হবে সেদিনের অপেক্ষায়।

দোয়া করবেন সেটা যেন আগামী জাতীয় শিক্ষক দিবসের আগেই হয়।

লেখকঃ সাবেক শিক্ষার্থী

আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম