শুরু ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা, শেষ ৪ নভেম্বর রাত ১২টা

লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে বাইশ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ইলিশ

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০

দেশালোক সংবাদ: মা ইলিশ রক্ষা এবং প্রজনন ও বংশ বিস্তার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ সময়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি-কমলনগরসহ সারা দেশে প্রজণন মৌসুমে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর – রামগতির চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে সকল ধরনের মাৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার।

রামগতি উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এরকম এফআইডি কার্ডধারী জেলে রয়েছেন ১৮৮৬০ জন আর নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন প্রায় ২০৩৬০ জন। প্রতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে, জাটকা ইলিশ রক্ষাসহ কয়েক মৌসুমে নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।

আর এ সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করে থাকে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার এ ২২ দিন নদীতে সকল ধরণের মাৎস্য আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে। এ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে জেল জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, প্রতি বছরের মত এবারো মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন সকল ধরনের মৎস্য আহরণ, বিপনন, মজুদ, পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ যৌথ অভিযান পরিচালনার সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। জেলেদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন, সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী রুপালী ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি, মাৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় প্রতি বছর ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুমে নদীতে নির্দিষ্ট সময় সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে। এ সময় অলস জেলেদের জন্য রয়েছে ভিজিএফ, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ নানান সুযোগ সুবিধা। দেশের সম্পদ সুরক্ষার স্বার্থে সবাইকে এ আইন মানতে হবে।

দেশের ১৪ টি উপকূলীয় এলাকার ১১ হাজার বর্গ কিমি জল সীমা এ নিষেধাজ্ঞার আওতাভূক্ত থাকবে। সেই সাথে এই সমযে়  মৎস্য বিভাগ মেঘনা নদীতে ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন ।

মৎস্য কর্মকর্তারা আরো জানান, মা ইলিশ শিকার বন্ধে জেলেদের সচেতনতা সৃষ্টিতে সভা, মাইকিং, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তাছাড়া আড়ত গুলো সিলগালা ও বরফ কলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনীর বিশেষ টহল জোরদার করা হবে।

উল্লেখ্য যে, ২০০৬ সাল হতে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিমি, আলেকজান্ডার থেকে ভোলার ইলিশা পর্যন্ত ১শ’ কিমি, শাহবাজপুর চ্যানেলের ৯০ কিমি। ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রস্তম পর্যন্ত ১শ’ কিমি ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে আন্দার মানিক পর্যন্ত ৮০ কিমি এলাকাকে মৎস্য অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়।