চলতি বাজেটেই এমপিওভূক্তি চান বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকরা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২১

মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল: আমরা ১৯৯২ সাল থেকে ৩১৫ টি বেসরকারি কলেজে নামমাত্র বেতনে ৫৫০০ শিক্ষক কর্মরত আছি। প্রায় ১০ বছর ধরে আমরা এমপিওর  জন্য শান্তিপূর্ন আন্দোলন ও সভা সমাবেশের মাধ্যমে দাবি করে আসছি। কারন একই কলেজে ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষকরা এমপিওভূক্ত, মাদ্রাসার শিক্ষকরাও কামিল পর্যন্ত এমপিও পায়, অথচ আমরা পাইনা। সাম্প্রতিক সময়েও আমরা বহুবার মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী ও সাংসদদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। ফলে কয়েকজন মাননীয় সাংসদ (২০২১-২২) বাজেট অধিবেশনে আমাদের বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন। সেটা হয়ত আপনারও দেখছেন।

গত ১৩ জুন ২০২১ তারিখে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের একটি টিম মাননীয় উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গাজীপুরে সাক্ষাত করলে, তিনি ঐ দিনি কলেজগুলোকে একটি চিঠি দেন। যেখানে বলা ছিল বেতন না দিলে বিষয় অধিভূক্তি বাতিল করা হবে। এখন প্রশ্ন হলো অধিভুক্ত বাতিল করলে কি সমস্যার সমাধান হবে? এমপিও না দিলে কলেজ গুলো সবসময় শিক্ষকদের বঞ্চিত করবে। এখনো আমাদের অভিজ্ঞতা গণনা করা হয়া না । আমাদের পদোন্নতি, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এমপিও হলে এ সবকিছু থাকতো।

তাই এখন শিক্ষকরা চরম হতাশ। করোনাকালে আয় না থাকায় ৯০ ভাগ কলেজ বেতন দিতে পারছেনা। বাকিগুলোও এক মাস দিলে আরেক মাস দিচ্ছে না। আর কয়দিন পরেই ঈদুল আযহা এত বড় উৎসব পালন করার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। কারন যেখানে ঠিকমতো বেতন পাইনা। সেখানে কিসের ঈদ? এমন বাস্তবতায় বলা হচ্ছে যে বেসরকারি কলেজের অনার্স বন্ধ করা হবে। নতুন করে আর অধিভূক্তি না দিতে পারেন বরং যেগুলো চলছে সেগুলোর গুনগত মান বাড়ানো চেষ্টা করা উচিৎ । পাশাপাশি বিধি মোতাবেক কর্মরত সকল শিক্ষকদের এমপিও দিতে হবে। কারন বিনিয়োগ না বাড়িয়ে আর্থিক নিরাপত্তা না বাড়িয়ে এভাবে অনার্স-মাস্টার্সের মান বাড়বে না বরং কমবে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে যা আমরাও চাই না।

আশাকরি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে এই বৈষম্য আর থাকবেনা। চলতি বাজেটেই এর চূড়ান্ত সমাধান হবে।

লেখক:

সদস্য সচিব, বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন