গার্মেন্টস্ খোলার ঘোষনায় রামগতি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী মানুষের স্রোত

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২১

সারোয়ার মিরন:

হঠাৎ করে পোশাক কারখানা চালু করার সিদ্ধান্তে রামগতি উপজেলা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী মানুষের জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। কঠোর লকডাউনে দুরপাল্লারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারন মানুষ পড়েছেন নানান সমস্যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে ইদের ছুটিতে বাড়ি আসা কর্মজীবী এসব মানুষ দুর্ভোগকে সংগে নিয়েই রওয়ানা হচ্ছেন। সিএনজি স্ট্যান্ড গুলোতেও অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে। আগের তুলনায় বেড়েছে ভীড়ও।

রামগতি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম। চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে ইদের আগের দিন (২০ জুলাই) বাড়ি এসেছেন। ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন থাকলেও হঠাৎ করে কারখানা চালু হওয়ার ঘোষনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ। বেশ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করে ভাড়া করেছেন মাইক্রোবাস। চড়াদামে ভাড়া। এখনো রওয়ানা দিতে পারেন নি। কখন পৌছতে পারবেন কর্মস্থলে বলতে পারছেন না।

চর মেহার এলাকার শামীম। কারখানা খোলার ঘোষনা ‍শুনে রাত তিনটায় রওয়ানা দিয়েছেন রাজধানী গাজীপুরের উদ্দেশ্যে। যাবেন গাজীপুর। ভেংগে ভেংগে যাচ্ছেন। গুনতে হচ্ছে তিন চারগুন বেশি ভাড়া। কখন পৌছবেন তা অজানা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাইক্রোবাস চালক জানিয়েছেন, বাধ্য হয়েই লকডাউনেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গতো কয়েক মাস ধরে তেমন আয় রোজগার নেই। তাছাড়াও যাত্রীদেরও খুব রিকোয়েস্ট যাওয়ার জন্য। তাই কৌশল অবলম্বন করে রাস্তায় গাড়ি চালাই। মাঝে মধ্যে মামলা বা জরিমানাও গুনতে হয়।

ভোলা-বরিশাল থেকে নদী পথে বিভিন্ন কৌশলে রামগতি হয়ে রাজধানী এবং চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে অনেকে আসছেন। আলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়কেও বেড়েছে সিএনজি অটো রিকসা চলাচল। অনেকেই রিজার্ভ গাড়ি না পেয়ে সিএনজিতে অতিরিক্ত ভাড়ায় যাচ্ছেন সোনাপুর। শাহাব উদ্দিন নামের একজন জানান, সোনাপুর পর্যন্ত যেয়ে দেখি কোন ভাবে যাওয়া যায় কিনা।

উল্লেখ্য, গতকাল ৩০ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যায় সরকার রপ্তানীমুখী শিল্পকারখানা ১আগস্ট থেকে খোলা রাখার ঘোষনা দেয়।হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত আসায় শ্রমিকসহ অন্যান্য চাকুরীজীবীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। যদিও মন্ত্রী জানান, ৫আগস্টের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করলেও চাকুরীজীবীদের কোন সমস্যা হবেনা।