রামগতিতে সালিশী বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় ১জনের মৃত্যূ Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৪ দেশালোক: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের রামদয়াল বাজারে সালিশী বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় মো: নুর নবী উরফে শের আলী (৫৯) নামের একজনের মৃত্যূ হয়েছে। মঙ্গলবার সাড়ে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার পথে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আরো ৫জন আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন- নিহত নুর নবীর দুই ছেলে মো: রিয়াজ (৩২) ও মো: তামিম (২৯), ভাতিজা তারেক (২৫) ও নাঈমুর রহমান মজনু (৪০) এবং আবদুল ওয়ারেছ (৩৫)। প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের একাধিক স্বজনের মাধ্যমে জানা যায় যে, গত শুক্রবার নিহতের ভাতিজা নাঈমুর তার স্ত্রীসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পথে রামদয়াল বাজারে স্থানীয় রুহুল আমিনের ছেলে শাহাদাত কটুক্তি করে। নাঈমুর তার স্ত্রীকে কুটক্তির প্রতিবাদ জানালে ঘটনার দিন রাতে শাহাদাত তার দলবল নিয়ে বাড়ির দরজায় এসে নাঈমুরের উপর হামলা করে। এ হামলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় রামদয়ালে স্থানীয় আবদুল মতিন মাষ্টার, ঝন্টু, ইউপি সদস্য বাহাউদ্দিন, জাবেদ আলী রাসেল, জমির উদ্দিন, ডা: গোফরানসহ গণ্যমান্যদের নেতৃত্বে সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকের শেষ দিকে প্রতিপক্ষ চরমেহার এলাকার নেতাম্মদের দুই ছেলে মনির হোসেন এবং রুহুল আমিন ও তার ছেলে শাহাদাত এবং শিপনসহ বেশ কয়েকজন মিলে হামলা করে। হামলায় কিল-ঘুসি ও লাঠির আঘাতে মারাত্মক ভাবে আহত হন নুর নবী। আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে মারা যান তিনি। বৈঠকে উপস্থিত আবদুল মতিন মাষ্টার জানান, উভয় পরিবারের ছেলে-মেয়ের গোপনে বিয়ে, কটুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে সালিশী বৈঠকে স্বাক্ষ্য দেওয়া নিয়ে বৈঠকের বাহিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত ডাক্তার গোলাম রায়হান মৃত্যূর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যূ হয়েছে। রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোসলেহ উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, হামলার ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নিহত নুর নবী উপজেলার আবদুল হাদী কলেজে অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। SHARES আইন আদালত বিষয়: