রামগতিতে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া দুজনই হতে চান আইনজীবী Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৫ দেশালোক: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ৫টি কলেজে এইচএসসিতে ১হাজার ২শ ৭৬জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬২৯জন। উপজেলায় পাশের হার ৪৯.২৯শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুইজন শিক্ষার্থী। আ.স.ম আবদুর রব সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মানবিক শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে জিসান শরীফ (১৮)। সে রামগতি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড শিক্ষাগ্রামের মো. নুর নবী এবং মমতাজ বেগম দম্পতির বড় সন্তান। ভালো এ ফলাফলের জন্য বাবা-মায়ের পাশাপাশি আন্টি নিরুতাজ আক্তারের অবদানকে স্বীকার করেন। এছাড়াও শিক্ষকদের অবদানকেও বড় করে দেখছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি কোচিংরত শরীফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান। এ নিয়েও চেষ্টার কমতি করছেন না তিনি। ভবিষ্যতে হতে চান একজন ভালো আইনজীবী। শরীফ আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৩সালে এসএসসি পাশ করেন। এসএসসিতে জিপিএ-৫ না পেলেও এইচএসসিতে ভালো ফলাফলের অন্তরালের কারন হিসেবে নিয়মিত পড়াশোনার কথা তুলে ধরেন। জীবনের লক্ষ্য পূরণে তিনি সবার কাছে দোয়া চান। অন্য দিকে ডা. তোফা-ই-আইউব মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন রুনা আক্তার (১৮)। তিনি রামগতি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড সবুজগ্রামের মো. লিটন এবং মাহিনুর বেগম দম্পতির সন্তান। ভালো এ ফলাফলের জন্য বাবার পাশাপাশি মায়ের অবদানকে তুলে ধরেন। তিনি জানান, মায়ের অনুপ্রেরণায়-ই ভালো ফলাফল করতে সহযোগিতা করেছে। এছাড়াও কলেজ শিক্ষকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ কৃতি শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের আন্তারিক সহযোগিতা এবং দিক নির্দেশনায় এমন অভূতপূর্ব ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। রুনা আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে ভর্তি হতে চান। ভবিষ্যতে হতে চান একজন আইনজীবী। বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভর্তি পরীক্ষার জন্য। রুনা বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৩সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। এসএসসিতে জিপিএ-৫ না পেলেও এইচএসসিতে পেয়েছেন। এ জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান। জীবনের লক্ষ্য পূরণে দেশবাসীর দোয়া ছেয়েছেন তিনি। SHARES উপকূল বিষয়: