লক্ষ্মীপুরের রামগতি মেঘনা বেড়ীবাঁধ

দর্শনার্থী পদচারনায় মুখর মেঘনাপাড়

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২০

দেশালোক ডেস্কঃ কোভিড-১৯ সংকটে লকডাউন না থাকলেও আছে নানান বিধি নিষেধ। এসব বিধি নিষেধ উপেক্ষা করেই বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের দিন সকাল থেকেই মেঘনা পাড়ে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিকেলেই দেখা মেলে উপচে পড়া ভীড়।

আলেকজান্ডার, রামগতি বাজার, টাংকি স্লুইস গেট, মাতাব্বর হসট, মতিরহাটসহ মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেনি ও পেশার মানুষ। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর থেকেও আসছেন অনেকে।

সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম দেখা গেছে আলেকজান্ডার সংলগ্ন বেড়ীবাঁধ এলাকায়। প্রায় চার কিলোমিটার এ পাথুরে বেড়ীবাঁধের সৌন্দর্যে অনেকেই বিমোহিত হন। প্রায় সবার হাতেই দেখা গেছে স্মার্টফোনের কারুকাজ। সোলার ল্যাম্পপোস্ট, বাঁধের তীরে গড়ে উঠা ঝাউ বাগানও সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃক ডজন খানেক কংক্রীটের তৈরি বিশ্রাম ছাতা ও বসার জন্য বেঞ্চ। চরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা।

গতো দু তিন বছরে আলেকজান্ডার বেড়ীবাঁধের দর্শনার্থী বান্ধব অবকাঠামোর উন্নয়নও হয়েছে। সবদিক থেকে চলাচলের সুবিধা থাকায় এস্থান দিয়ে দর্শনার্থীদের উপস্থিতির আধিক্য দেখা যায়।

দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বিভাগ থেকেও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। নিয়োজিত রয়েছে আনসার ব্যাটলিয়ন সদস্যরাও।

ঘুরতে আসা এসব দর্শনার্থীদের দু একজন ছাড়া কাউকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা কিংবা মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। বেশির ভাগ বাইকেই দেখা গেছে দুইয়ের অধিক আরোহি।

বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, উপজেলা চত্তরে একটি ভালো মানের খাওয়া হোটেলের অভাব বোধ করছেন। ওয়াশরুমের সংখ্যাও বাড়ানো উচিত।

কোরবানীর ঈদে আনুষ্ঠানিকতা বেশি থাকায় প্রথম দিনে উপস্থিতি অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কম থাকলেও আগামী তিন চার দিন বাড়তে থাকবে।