উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা’র প্রচার প্রচারনা

মেঘনাপাড়ে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২০

দেশালোক রিপোর্টঃ ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না দর্শনার্থীরা। রামগতি উপজেলার মেঘনা পাড় বেড়ীবাঁধ এলাকায় এসে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। সারাদিনই একাধিক আরোহি নিয়ে আসছে বাইকররা। পিকআপ, ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস ইত্যাদি যানবাহনে করে মেঘনার সৌন্দর্য দেখতে আসছেন তারা। বেশিরভাগ দর্শনার্থীই বৃহত্তর নোয়খালীর বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসছেন।

দুপুরের পর থেকে জনস্রোত বাড়তে থাকে। আলেকজান্ডার – লক্ষ্মীপুর, আলেকজান্ডার – সোনাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে তেমন দৃশ্যই দেখা গেছে। পুরো সড়ক জুড়েই মোটরবাইকের সারি। প্রায় প্রতিটি বাইকেই তিনজন করে যাত্রী। মিনি পিকআপ এবং ট্রাকে করে হাই ভলিউমে ডিজে গান বাজিয়েও আসতে দেখা গেছে।

বেড়ীবাঁধে ঘুরতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীর মুখে মাক্স নেই। কেউ মানছেন না ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি।

নোয়াখালী সদর থেকে ঘুরতে আসা নুর আহমেদ বলেন, হাজার হাজার লোকের সমাগমে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয় না। তিনি নিজের ভুলও স্বীকার করেন।

তিনজন নিয়ে বাইক চালানো সাইফুল বলেন, দুর থেকে আসতে বেশি ভাড়ার একটা বিষয় থাকে তাই তিনজনকে নিয়ে ড্রাইব করা।

উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার মো: তাওহীদুল ইসলাম সুমন জানান, প্রায় সাড়ে চার কিমি বেড়ীবাঁধের প্রায় সব জায়গাটাই উন্মুক্ত। তাই এ বিশাল জনস্রোতকে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে প্রবেশ করানোর সুযোগ নেই। তারপরেও আমাদের সীমিত জনবল দিয়ে আমরা দর্শনার্থদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো: আবদুল মোমিন দেশালোক ডটকমকে জানান, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এতো বিশাল পরিমান দর্শনার্থী সামাল দেয়া আসলেই কঠিন। তারপরেও আনসার নিযুক্ত করেছি। প্রচার প্রচারনা করছি যাতে সবাই স্বাস্খ্যবিধি মেনে চলেন। উপজেলার ওয়েবসাইটেও দেয়া হয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারনা। স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রচার প্রচারনার কাজ করছেন।

(ছবি: তারিক আহমেদ আজিম)