আন্দোলনের প্রথম দিনে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিও দাবি

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

দেশালোক সংবাদঃ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা’১৮ তে বেসরকারি কলেজগুলোতে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন’।

কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারাদেশের বেসরকারি কলেজগুলোতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লাখ লাখ শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত (অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষকসহ) কলেজ জাতীয়করণের আওতায় পড়ছে। এতে আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বক্তারা বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, অবশিষ্ট এমপিওভুক্ত কলেজগুলোর অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে অধ্যয়নরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।

যেখানে বৈধভাবে নিযোগপ্রাপ্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষককে এখনও জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত ও এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না করায় একদিকে যেমন এসব শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না, অন্যদিকে কলেজ থেকে পূর্ণস্কেলে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কলেজভেদে নামমাত্র বেতন-ভাতা ছাড়া কখনোই পূর্ণাঙ্গ বেতন দেওয়া হয়নি।

তারা আরও বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অধিকাংশ কলেজে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত এসব শিক্ষক অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ একই বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত একই সিলেবাসে পড়াশোনা করে অনেক শিক্ষক ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। আবার একই প্রতিষ্ঠানে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত, মাদ্রাসা পর্যায়ে ফাজিল ও কামিল শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত। কিন্তু আমরা কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকরা আজও এমপিওভুক্ত হতে পারিনি। এটা খুবই কষ্টের। দুঃখজনক।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অনার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনটি পত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংশোধনাধীন ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজগুলোতে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষককে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

কর্মসূচিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের উপদেষ্টা মেহরাব আলী, আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ ও সদস্য সচিব মো. মোস্তফা কামাল, শিক্ষক মহিবুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব নেতৃবন্দ। তারা সবাই অবিলম্বে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের মানবিক দিকবিবেচনা করে জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি চলবে আরো দু দিন।