ভারতের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ- রামগতিতে জামায়াত আমির ডা: সফিকুর রহমান

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৪

দেশালোক:

“আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসা পানির ঢলে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের দুর্ভোগ। আমি মূলত তাই দেখতে এসেছি।শুকনো মৌসুমে সময় গেইট বন্ধ রাখে, আর বর্ষার সময় গেইট খুলে দেয় তারা। আমাদের খুব কাছের বন্ধু দরকারের সময় পানি দেয়না, যখন দরকার নেই তখন দেয়। পতন হওয়া সরকার বলেছিলো দেশকে সিংগাপুর বানাবে, এই হলো সিংগাপুরের বর্তমান অবস্থা। উন্নয়নের রাজপথে এখন পানি আর পানি। ভারত শুকনোর সময় পিপাসায় মারে, দেশকে মরুভূমি বানায় আর বর্ষায় পানি ছাড়ে।” – গত দু সপ্তাহ ধরে চলা অস্বাভাবিক জোয়ার এবং অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা কবলিত এলাকা লক্ষ্মীপুরের রামগতি পরিদর্শনে এসে জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ডা: সফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় তিনি উপজেলার ৩নং চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কিল্লা এলাকায় এসে পৌছান। ঘন্টাব্যাপি এ অবস্থানে তিনি আজাদনগর, চর পোড়াগাছা, শেখের কিল্লা, হাজীগঞ্জ এলাকার বন্যাকবলিত বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার, নিরাপদ পানি, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরন করেন।

তাঁর সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের ড. সফিকুর রহমান, সহ:সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, কুমিল্লা মহানগরী আমির, কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, লক্ষ্মীপুর জেলা আমির মাস্টার রুহুল আমিন ভুইয়া, নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্লাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুর নবী, রামগতি উপজেলা আমির মাওলানা আবদুর রহিম, সেক্রেটারি আলী মর্তুজা, পৌর আমির আবুল খায়ের, সেক্রেটারি মেজবাহুল মাওলাসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, আমি জানিনা এমন প্রতিবেশী দেশ বিশ্বে অন্য কেউ পেয়েছে কিনা! আমাদের দেশে সাড়ে ১৫ বছর একটা সরকার ছিলো, তারা দেশকে কানাডা বানাবে, বন্যা হলো সেই কানাডার দৃশ্য! উন্নয়নের প্রপাগান্ডা, সবই ছিলো মিথ্যে। তারা জনগনের সব অধিকার কেডে নিয়েছিলো। এখন তারাই  পালিয়ে গেছে। আমাদের ছাত্র জনতা তাদের তাড়িয়েছে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, এ দুর্যোগে সবাই সহযোগিতার জন্য নেমে পড়ুন। দোয়া করুন মহান আল্লাহ যেন আমাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
এর আগে জামায়াত আমির ফেনী, নোয়াখালীর বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে সুবর্ণচর ও নোয়াখালী সদর উপজেলা হয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি এসে পৌছান। উপজেলার আজাদনগর থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা তাঁকে বরণ করে নেন