রামগতিতে কৃষকের ধান লুটের অভিযোগ

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৪

দেশালোক:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ভূমিদস্যু মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে কৃষকের ধান লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী রিয়াজ মাহমুদ বিনু বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামগতি সেনাক্যাম্প বরাবর পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর মৌজার দিয়ারা জরিপে ৪৫৬৫ দাগের অন্দরে এক একর ৫০ শতক কৃষি জমি রিয়াজ মাহমুদ বিনু ২০০০ সালে বন্দোবস্ত পান। ২০০০ সাল থেকে ওই জমিতে রিয়াজ মাহমুদ বিনু চাষাবাদ করে আসছে। চলতি মাসের ৫ নভেম্বর স্থানীয় চরলক্ষ্মী গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে মো. শাহাদাত ও ইব্রাহিম সহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার ১ একর ৫০ শতক জমি ধান চাষের জন্য চাষ করে তৈরি করা হলে মহিউদ্দিন লোকজন নিয়ে ধান রোপন করে দেন। বর্তমানে বিনুর জমিতে মহিউদ্দিনগংদের লাগানো ধান রয়েছে। গত বছর চাষ করা ওই জমির প্রায় ৪০ মন ধান কেটে লুট করে নিয়ে যায় মহিউদ্দিন। খবর পেয়ে কৃষক বিনু ঘটনাস্থলে গেলে মহিউদ্দিন ও তার বাহিনী লাঠিসেঁাটা নিয়ে তার গায়ের দিকে তেড়ে আসে। এবং ওই জমিতে গেলে প্রাণে মেরে পেলার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য লোকজন সমাধানের উদ্যোগ নিলেও মহিউদ্দিন কোন তোয়াক্কা করছেনা। নিরুপায় হয়ে তিনি ইউএনও,ওসি ও সেনাক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী রিয়াজ মাহমুদ বিনু বলেন,এই জমিগুলো আমাকে সরকার ২০০০ সালে বন্দোবস্ত দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমি দখলে থেকে চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ চলতি মাসের ৫ তারিখে ভূমিদস্যু মহিউদ্দিন দলবল নিয়ে আমার রোপণ করা প্রায় ৪০ মন আমন ধান লুট করে নিয়ে যায়।

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন বলেন, ওই জমি মাপের জন্য কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। সরকার বিনুকে বন্দোবস্ত দিয়েছেন ঠিক। কিন্তু আমাদেরও জমি ওই দাগে রয়েছে। ধান লুটের বিষয়টি সঠিক নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ধান লুটের একটি অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে নোটিশ করা হলেও মহিউদ্দিনগংরা উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ধান লুটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানের জন্য ডাকা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে রামগতি সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. কামাল উদ্দিন বলেন, উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে।