ভুয়া ওয়ারিশ সনদে রামগতিতে ব্যবসায়ীর সম্পত্তি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৫ দেশালোক: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ব্যবসায়ীয় আবদুল ওহাবের মৃত্যুর পর কৌশলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাদ দিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরির মাধ্যমে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে তার প্রথম স্ত্রী ও ছয় সন্তানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর টগবী গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব (৭০) গত ২মে মারা যান। তিনি পারিবারিক জীবনে দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আবদুল ওহাব চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজগ্রামের মো. ইউসুফের মেয়ে দ্বিতীয় সোনিয়া বেগমকে (৪৩) দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পাবিরাবিক ভাবে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা সহ্য করতে না পারায় নোয়াখালীর মাইজদীতে একটি ভাড়া বাসায় রেখেছেন। আবদুল ওহাব নিয়মিত দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে যাতায়াত করতেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীসহ স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তানদের ভরণ পোষণ ও পড়ালেখার ব্যয় বহন করতেন। ১৭মে, শনিবার এসব বিষয়ে গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা খোলামেলা কথা বলেন সোনিয়া বেগম। তার অভিযোগ ও কাবিননামাসূত্রে জানা যায়, ২০২০সালে নোয়াখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজগ্রামের মো. মফিজ এর ছেলে মোহাম্মদ হৃদয় এবং মাইজদী কোর্ট এলাকার আবুল খায়ের এর ছেলে আবুল কালাম। সোনিয়া বেগম অভিযোগ করে আরো বলেন, আবদুল ওহাব মারা যাওয়ার পর প্রথম স্ত্রী শাহিনুর ও তার স্থানীয় ছয় সন্তান আবদুল হান্নান, ফারভেজ, বাবলু, লাভু, কহিনুর ও মনি সংঘবদ্ধ হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জাকির হোসেন লিটন এবং ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খসরুর সহযোগিতায় ভুয়া ওয়ারিশসনদ তৈরি করেন। এতে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমি স্ত্রী হিসেবে সব ধরনের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মৃত আবদুল ওহাব দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া বেগম জানান, আমাকে বাদ রেখে ওয়ারিশ সনদ প্রদানের বিষয়ে আমার মেয়ের জামাই মো. ইউসুফসহ (আগের সংসার) সরাসরি গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরীকে সাথে সাথে অবহিত করি। তিনি আমার থেকে এ বিষয়ে সমাধান করার জন্য দু দিন সময় নিয়েছেন। যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ওয়ারিশ সনদ দিবেন বলে জানালেও পরবর্তীতে তালবাহানা শুরু করেন। তিনি আরো করে বলেন, আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সহায় সম্পদ ও অধিকার থেকে আমাকে কৌশলে বাদ রাখতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্বামী আবদুল ওহাবের প্রথম স্ত্রী ও তার ছয় সন্তান মিলে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহন করছেন। যা দেশের ওয়ারিশ সম্পদ বন্টন নীতিমালার পরিপূর্ণ বিরোধী। আমি প্রকৃত ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করাসহ এবং স্ত্রী হিসেবে আমার সকল অধিকার পাওয়ার আশায় স্থানীয় প্রশাসন ও গন্যমান্যদের কাছে সু বিচার প্রত্যাশা করছি। চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী জানান, মৃত আবদুল ওহাবের ওয়ারিশরা আসলে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদেরন সনদ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে সোনিয়া বেগম কাবিনামার ফটোকপিসহ আসলে আমি নিজ উদ্যোগে নোয়াখালীর ওই কাজী অফিসে লোক পাঠিয়ে যোগাযোগ করি। উক্ত কাবিনামাটি প্রাথমিক ভাবে সত্যতা মেলেনি। তিনি আরো বলেন, সোনিয়া বেগম যথাযথ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারলে আমরা আগের ওয়ারিশসনদটি বাতিল করে নতুন সনদ প্রদান করব। নোয়াখালী পৌর ৫নং ওয়ার্ডের কাজী মো. নুরুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উক্ত কাবিননামটি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খসরু আসলে তাড়াহুড়ো করে যথাযথ ভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতে যাচাই—বাছাই করে সোনিয়া বেগম এবং আবদুল ওহাবের কাবিননামাটি সত্য এবং সঠিক পাওয়া গেছে। বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া বেগমকে বাদ রেখে ওয়ারিশ সনদ নেওয়া প্রসঙ্গে জানার জন্য আবদুল ওহাব এর প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে মো. আবদুল হান্নান এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। SHARES আইন আদালত বিষয়: