দ্বিতীয় দিনেও প্লাবিত

অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্তদের ফেসবুকে ক্ষোভ

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২০

দেশালোক ডেস্কঃ গতো দুদিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভাসছে রামগতি উপজেলার উপকূলীয় এলাকা সমূহ। ভুক্তভোগীরা সোস্যাল মিড়িয়ায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন মেঘনায় বাঁধ না থাকার বিষয়ে। পাশাপাশি চলমান প্রকল্পটির দ্রুত অনুমোদন চান। তেমন কয়েকটি ফেসবুক মতামত তুলে ধরা হলোঃ

আবদুল হামিদ খানঃ মাননীয় এমপি মহোদয়।দয়া করে রামগতি-কমলনগরে আজই জরুরি একটি সফর দিন। উপকূলবাসী আজ বানের জলে ভাসছে! জানিনা আপনার কাছে দুর্যোগের সকল খবরাখবর এখন পর্যন্ত পৌঁছলো কি না?
প্লিজ, একটু সরেজমিন ভিজিট করে মানুষকে নদী বাঁধের অসমাপ্ত কাজের বিষয়ে আশ্বস্ত করুন। চার লক্ষ মানুষের কাণ্ডারি হিসেবে- মেঘনার করাল গ্রাসে বিধ্বস্ত এ জনপদের “প্রকৃত অবস্থা” জোরালো ভাবে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করুন। অস্বাভাবিক জোয়ারে মেঘনা নদীর তীরবর্তী প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে গত তিন দিনে নদীতে প্রায় ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।এতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। অসহায় এক রামগতি আজ অভিভাবকহীন। শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাব আর রাজনৈতিক দূষনের নোংরা খেলায় লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি আসনের মানুষ আজ দিশেহারা। এর জবাব একদিন দিতে হবে…….

মাসুদ সুমনঃ রামগতিতে ৮৮’র পরে কেউ বন্যা দেখেনি! আজ (বুধবার) বন্যায় তলিয়ে যাচ্ছে শত শত বাড়িঘর, মাছ চাষের পুকুর, মারা গেছে খামারীর মুরগী।
রামগতিবাসীর এমন দুর্ভোগ এর জন্য কে দায়ী? আমরা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে চাল-ডাল কিছু চাইনি, চেয়েছি বেড়ীবাঁধ। কে কাকে আজ এ অসহায় রামগতি- কমলনগরবাসীকে আশ্রয় দিবে! ধনী গরিব সবাই তো আজ অসহায়। এতো ভিডিও এতো কান্না করেও বাঁচলো না বাংলাবাজার। গতকাল ভেঙ্গে গেলো মুন্সির হাট। ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে আসলপাড়া। পুরো পানির ভেতর আছে জনতা বাজার।বর্তমান এমপি মেজর (অব) আবদুল মান্নান বলেছিলেন এ নদীতে একদিন বাঁধ হবেই হবে।
হ্যাঁ! বাঁধ হয়তো একদিন হবে সেইদিন হয়তো আলেকজান্ডার ইউনিয়ন থাকবে না। রামগতি কমলনগর বিলীন হয়ে গেলে ওই দরিয়া শুধু দরিয়াই থাকবে। সেখানে জনগণ থাকবেনা।

তাওহীদ তারেকঃ মাননীয় এমপি মহোদয়, দয়া করে রামগতি-কমলনগরে আজই জরুরি একটি সফর দিন। উপকূলবাসী আজ বানের জলে ভাসছে! জানিনা আপনার কাছে দুর্যোগের সকল খবরাখবর এখন পর্যন্ত পৌঁছলো কি না! প্লিজ, একটু সরেহজমিন ভিজিট করে মানুষকে নদী শাসন বাঁধের অসমাপ্ত কাজের বিষয়ে আশ্বস্ত করুন। ৪ লক্ষ মানুষের কাণ্ডারি হিসেবে- মেঘনার করাল গ্রাসে বিধ্বস্ত এ জনপদের “প্রকৃত অবস্থা” জোরালো ভাবে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করুন।

আফতাব হোসেনঃ মাননীয় এমপি মহোদয় লক্ষ্মীপুর-৪ আপনাকে বলছি। আপনি রামগতি ও কমলনগর থেকে নির্বাচিত এমপি। এ এলাকাটি একটি গ্রাম অধ্যুষিত নদী ভাঙ্গন কবলিত। নির্বাচিত হয়েছেন দেড় বছর হয়েছে। রামগতি-কমলনগরের মানুষের জন্য কি করেছেন মানুষ জানতে চায়।আজকে রামগতি কমলনগর এর মানুষের আহাজারি আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন! বিশাল বিস্তৃর্ণ এলাকা আজ পানিতে ডুবে আছে, একটি সাধারণ বেড়ীবাঁধ পর্যন্ত কোথাও নেই। এটা তো মানুষের প্রত্যাশা ছিল না আপনার নিকট। আপনি এমপি, আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি। আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা ভোট দিয়ে আপনাকে এমপি বানিয়েছে। জনগণের দুঃখ দুদর্শা লাঘবে কাজ করার জন্য। আপনার প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। প্লিজ দ্রুত রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত জনগনকে রক্ষা করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।