রামগতি-কমলনগরেরও পাঁচ পাঁচটি সিনেমা হল ছিলো! নেইমপাম নেইমপাম বাংলাদেশ প্রকাশিত: ২:৩২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২০ দেশালোক বিশেষঃ ভিসিআর, সিডি- ডিভিডি যুগের আধিক্যের কারনে দেশের বেশিরভাগ সিনেমা হল দর্শক শুন্যতায় বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু সিনেমা হল অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক চালু থাকলেও অনেকটাই মৃত প্রায়। হাল আমলের মেমোরী ডিভাইস, স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সিনেমা হলো গুলোর কফিনে শেষ পেরেকটি গেঁথেছে। কিছুটা দায়ী আছে চলচ্চিত্রের অশ্লীলতাও। দর্শক খরায় অবিভক্ত রামগতির পাঁচ পাচটি সিনেমা হল প্রায়ই বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর হলো। অথচ এ সিনেমা হল গুলোই ছিলো উপকূলীয় এ অঞ্চল গুলোর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। বর্তমান রামগতি উপজেলার তিনটি এবং কমলনগর উপজেলার দুটি হল চালু ছিলো। সিনেমা হল গুলো হলো- রামগতি বাজারের বর্ণালী (তেলের ভাউচার সংলগ্ন), আলেকজান্ডারের বাণী (সাহা পাড়া রাস্তা সংলগ্ন), উপকূল (রামগতি উপজেলার দক্ষিনে), করুনানগরের রিতা (মধ্য বাজার), হাজীরহাটের সুমন (হাজীর হাট মোড়)। উপকূল সিনেমা হল মেঘনার ভাংগনের শিকার। সুমনের পুর্ব নাম ছিলো মেঘনা। আলেকজান্ডারের বানী সিনেমা হল উৎসব পার্বনে চালু করা হলেও করোনা সংকটের কারনে গতো দুটি ঈদে কোন ধরনের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়নি। একই অবস্থা হাজীরহাটের সুমন সিনেমা হলেরও। বন্ধ হয়ে গেলেও সব কটি হলের জীর্ণ কংক্রিটের কাঠামো স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বর্ণালী এবং রিতা পুরোপুরিই বন্ধ রয়েছে। উদ্যোক্তারা সিনেমা হল ব্যবসায় ছেড়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হওয়ায় হল গুলো পুনঃ চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এক সময়ের বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমি আলমগীর হোসেন জানান, আহ! সে দিন গুলোর কথা মনে পড়লে হারিয়ে যাই। রুপালি পর্দায় রাজ্জাক-শাবানা ও ববিতাদের ছবি দেখা সত্যিই দারুন ছিলো। নিয়ম করে প্রায় প্রতি মাসেই সিনেমা হলে যাওয়া হতো। বর্তমান প্রজন্মের ওমর ফারুক জানান, অশ্লীল ছবিই এ অবস্থার জন্য দায়ী। তাছাড়া এখন হাতের কাছেই সব দেখা যায়! কোন দুঃখে আমরা সিনেমা হলে যাবো! বর্তমান এবং আগামী প্রজন্ম হয়তো অবিভক্ত রামগতির সিনেমা হল গুলোর কথা ভুলেই যাবে। দাদু-দাদী, নানা-নানীর কাছে গল্প শুনবে আমাদের সময়ে রামগতিতে এত্তো গুলো সিনেমা হল ছিলো। SHARES আইন আদালত বিষয়: