লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের সংরক্ষিত নারী সাংসদ হলেন ফরিদুন্নাহার লাইলি

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪

দেশালোক:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ ফরিদুন্নাহার লাইলি লক্ষ্মীপুর জেলায় সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত নারী সাংসদ হিসেবে ৪৮জনের নাম ঘোষণা করেন। এ তালিকায় লক্ষ্মীপুরের আশ্রাফুন নেছা পারুলও রয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রার্থী হিসেবে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে মনোনয়ন পেয়েও ফরিদুন্নাহার লাইলি দলীয় জোটের কারনে জাসদ (ইনু) প্রার্থী মোশারেফ হোসেনকে প্রার্থীতা ছেড়ে দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। প্রার্থীতা ছেড়ে দিলেও জোটের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় অংশ নিয়েছেন।
ফরিদুন্নাহার লাইলি ৯ম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত-১৮ (রামগতি-কমলনগর) আসনে দায়িত্ব পালন করেছেন নারী সাংসদ হিসেবে। সে সময় থেকেই রামগতি—কমলনগর এলাকায় তাঁর পদচারনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত ফরিদুন্নাহার লাইলির বিশাল একটি অনুসারি রয়েছে এ অঞ্চলে। ১৯৫৪ সালের ১২ ডিসেম্বর নোয়াখালী সদর উপজেলার ০৩নং নোয়াইর ইউনিয়নের গোরিপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সালে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম সাইদুর রহমান এবং মাতার নাম মাহামুদা বেগম। বাবা মায়ের তৃতীয় সন্তান তিনি।
স্থানীয় হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর ভর্তি হন কুমিল্লা উইমেন্স কলেজে। এই কলেজেই তার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি। এখানেই ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এইচএসসি পাশ করার পর ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক করা ফরিদুন্নাহার লাইলী এ সময় পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং শামছুন নাহার হল শাখার সভানেত্রীর দায়িত্ব।
১৯৮০—৮১ইং শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন একমাত্র ছাত্রীবাস সামছুন নাহার হলের ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভিপি পদে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক, দায়িত্বপালন করেছেন কেন্দ্রিয় মহিলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে।
একই বিষয়ে মাস্টার্সও করেন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শিক্ষা জীবন শেষে তিনি পুরোপুরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদিকা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তার স্বামীর নাম আকবর হোসেন। তাদের একমাত্র কন্যা এসএমএ জাফরী চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এর আগে দু দুবার কেন্দ্রিয় কমিটির ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গর্বিত এ নারী মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বশরীরে উপস্থিত থেকে নানান ভাবে সহায়তা করেছেন।
একজন সুলেখিকা এবং জাত বীমা বিশেষজ্ঞ ফরিদুন্নাহার লাইলি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আজম্ম আওয়ামী রাজনীতির ধারক বাহক ও রাজপথের লড়াকু এ নারী দ্বিতীয়বারের মতো সংরক্ষিত আসনের সাংসদ হয়ে পেয়েছেন তার প্রতিদান।