শোকাবহ আগস্ট

দুরাশার ষোলকলা: এমন যদি হতো!

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২০

সারোয়ার মিরন: অবশেষে পনের আগষ্ট জন্মদিন পালন করবেন না বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তারেক রহমান এ যাবতকাল ধরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে করা অহেতুক বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়কে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়েছেন।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ ততকালীন সময়ে ঘটিত সকল হত্যাকান্ডের বিচারিক ব্যর্থতার দায়ও নিয়েছেন খালেদা জিয়া।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে রাজনীতির মাঠে স্বাগত জানিয়েছেন।আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি জিয়ার নামে ফিরেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের বৃহত্তর স্বার্থে রাজী হয়েছেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে।বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসুচি প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী আহবান জানালে বিএনপিও তাতে রাজি হয়েছে।

বিজিবি ফিরে গেছে ব্যারাকে। আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের নিজ নিজ চেইন অব কমান্ড মেনে দায়িত্ব পালন করছে।

দু নেত্রীর সমঝোতার খবরে দেশে বন্ধ হয়ে গেছে জ্বালাও পোড়াও ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।দেশব্যাপী মুক্তির হাসি।

নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার দিন জননেত্রী ও দেশনেত্রী একই মঞ্চে একই শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়েছেন।মিড়িয়া গুলোও নিরপেক্ষ ভাবে তা লাইভ দেখিয়েছে।নির্বাচনের আগে তারা আর কোন সভা মিছিল মিটিং করবেন না। পোস্টারিং হবে না। কেবল মাত্র সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী প্রচারনা করবেন তারা। নির্বাচনে বিজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানাবেন বলেও কথা দিয়েছেন। বিরোধীদলের গঠনমুলক সমালোচনা করবেন বলেও ঐক্যমতে পৌছেচেন তারা। হবে না কোন হরতাল অবরোধও।সভা শেষে করমর্দন করলেন দু নেত্রী।

সকল মামলা হামলা নিঃশেষ হয়েছে। গনতন্ত্রের বিজয়ের জন্য শুন্য অবস্থান থেকে শুরু করবে সকল পক্ষ।বঙ্গবন্ধু ও জিয়াসহ সকল নেতরা তাদের প্রাপ্য সম্মান যথাযথ পাবেন। সকল দলমত সবাই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের পক্ষে।
এদিকে দেশের আপামর জনগন বেশ সচেতন হয়েছে। গনতন্ত্রকামী প্রকৃত দলকে ভোট দেবে বলে সপথ নিয়েছে। বিভিন্ন শ্রেনি পেশাজীবীদের মধ্যে কোন দলাগলী নেই। সর্বত্র্যই কেবল দেশকে এগিয়ে নেবার সুর।

এমন নিউজ কবে দেখবো! এমন গনতন্ত্র কবে মিলবে! হে ষোল কোটি মানুষ বলতে পারো?