বাইক ট্র্যাকে রামগতির মেরিন ড্রাইভ

নেইমপাম নেইমপাম

বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০

দেশালোকঃ রামগতির রাস্তায় বাইক চালাতে চাইলে আপনাকে সাজেস্ট করবো বাঁকের বাজার (কারিগো গোঁজা) থেকে রামগতি রাস্তাটি। এ তের কিলোমিটার বেড়ীতে মনের মতো বাইক রাইডিংয়ের মজা পাবেন। আাঠারো ফিট প্রস্থের এ সড়কটিতে যেতে আসতে পারবেন রামগতি জিরো পয়েন্ট থেকে কারিগো গোঁজা পর্যন্ত।

ভুলুয়া নদী ঘেষা হওয়ায় এ সড়কটিকে বলা হয় রামগতির মেরিন ড্রাইব। বর্তমানের এ সড়কটি এককালে ভুলুয়া নদী তীরে বেড়ীবাঁধ হিসেবে জনগোষ্ঠীকে জোয়ার জলোচ্ছাস থেকে রক্ষা করতো। ভুলুয়ার যৌবন পড়তে পড়তে এখন মৃত প্রায়। বেড়ীটির অপরিহার্যতা না থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১৫ সালে এটিকে নিচু করে প্রসস্থ করে সড়কে রুপান্তর করে।

রামগতি বাজার থেকে তোরাবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত বেড়ীটির দৈর্ঘ্য ত্রিশ কিলোমিটার। তৎকালীন সংসদ সদস্য মোঃ আবদুল্ল্যাহ (আল মামুন) বেড়ীবাঁধকে সড়কে রুপান্তরের কাজটি উদ্বোধন করেন। তখন পুরো বেড়ীর কাজ না হয়ে সড়ক হয়েছে কারীগো গোঁজা থেকে রামগতি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত তের কিমি।

আন্তর্জাতিক টেন্ডারে বিদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করায় বেশ ভালো এবং টেকশই কাজ হয়েছে।

দীর্ঘ পাঁচ বছরেও তাই সড়কটির মান একটুও হেরফের হয়নি। বাইক চালাতে ফিল করবেন দারুন কিছু। জাহের মার্কেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের ঘন ঘন মোড় গুলো দিবে রেসিং ফিলিংস্। সোজা কথায় সে পাঁচ কিমি সড়ক বাইক রেসিং ট্র্যাক।

যানবাহন চলাচল কম থাকায় শীত কালে আশপাশের মানুষজন কৃষি ফসল শুকোয় রাস্তায়। বিকেলে শিশুদের উপস্থিতি বেশি থাকে। নিরাপদে বাইক চালাতে যেতে হবে ভোর বেলায় নয়তো সন্ধ্যার পরে। সকাল দশটা পর্যন্ত মানুষজন সড়কে তেমনটা থাকেনা। পথে পাবেন দুটো বাজার। জাহের মার্কেট এবং চৌধুরীবাজার।

প্রতি মোডে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, স্কুল, বাজার, পুল কালভার্টে পাবেন উজ্জ্বল ট্রাফিক সাইন। মনে হবে দেশের বাহিরের পরিচ্ছন্ন এবং গোছালো সড়ক। সতর্কতার সাথে বাইক চালিয়ে দেখতে পারবেন গ্রামীন জনগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের জীবন বৈচিত্র্য। অভিজ্ঞতায় যুক্ত হবে নতুন কিছু! কথা দিলাম।