রামগতি-কমলনগরের আকাশে কালো মেঘ

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২০

সারোয়ার মিরনঃ গতো দু’দিন ক্রমাগত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জন জীবন বিপর্যস্ত। উপকূলীয় এলাকা হিসেবে রামগতি কমলনগরেরও বেহাল দশা। জন দুর্ভোগ বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।

বিদ্যুত নেই দুই দিন। ক্রমাগত বৃষ্টি। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। দিনরাত্রির ফাঁরাক বোঝা দায়। গতো কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত অস্বাভাবিক জোয়ারে জনবহুল রাস্তা ঘাট গুলো স্বাভাবিক চলাচলের অনুপযোগী। গত দুদিনের বৈরি আবহাওয়ায় উপকূল জুড়ে দেখা দিয়েছে ভাংগনের তীব্রতা। মুহূর্তেই ভেংগে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে লোকালয়, হাট বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সর্বত্রই কেবল কান্নার আওয়াজ। হারানোর বেদনার করুন সুর।

রামগতির বয়ারচর থেকে কমলনগতের মতিরহাট। ভাংগছে দেদারছে। অসহায় জনতা। জোয়ার আর বৈরি আবহাওয়ার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকছে।

সবচেয়ে বেশি ভাংগনের শিকার রামগতির চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকার মুন্সিরহাট ভেংগেছে। শত বর্ষের একটি মসজিদ মেঘনা গর্ভে বিলীন। ভাংগনের মুখে প্রাচীন দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বালুরচর ইসলামীয়া অালিম মাদরাসা এবং একটি সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়। ভাংগনের মুখে ঐতিহ্যবাহী জনতা বাজার, বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয়, চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

কমলনগরের ফলকন, লুধুয়া, পাটারীরহাট, মতিরহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকাও ভাংগন তীব্রতায় দিশেহারা।

এ অঞ্চলের মানুষের মনে আশার আলো জাগিয়ে ছিল বত্রিশশো কোটি টাকার নদী শাষন ও রক্ষা বাঁধের ফাইলটি। প্রকল্পটি হচ্ছে হচ্ছে করেও পাশ হয়নি! একনেকের সভা ওঠার আগেই পুনঃ মূল্যায়নের জন্য ফেরত এসেছে! রামগতি কমলনগরের কপালে কালো মেঘের অপচ্ছায়া আবাও।

শোর উঠেছে পুনঃ মূল্যায়নের নামে এক বছর সময় পিছিয়ে গেছে প্রকল্পটি। সাংসদ মেজর (অব) আবদুল মান্নান জবাবে বলেছেন এটা বিশ দিনের ভেতর আবার একনেকে আসবে!

আকাংক্ষিত বিশ দিন সময়ও শেষ। বত্রিশশো কোটি টাকার ফাইলটি নিয়ে আর কোন সাড়া শব্দ নেই। তবে কি সত্যিই এক বছর পিছিয়ে গেলো!!

এক বছর সময় ধরে রামগতি কমলনগর ঠিক কতোটা অবশিষ্ট্য থাকবে! কতটা টিকে যাবে উপকূলের এ জনপদ!