রামগতিতে কঠোর লকডাউনের ১ম দিন, ১৪জনের অর্থদন্ড

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২১

দেশালোক: কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সরকার ১জুলাই থেকে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে কঠোর লকডাউন। অন্যান্য স্থানের ন্যায় রামগতি উপজেলায় সর্বাত্মক ভাবে পালন করা হচ্ছে এ লকডাউন। প্রথম দিনে উপজেলা প্রসাশনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে উপজেলা জুড়ে।

উপজেলার প্রধান প্রধান বাজার গুলো সব দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় রিকসা ছাড়া অন্য কোন যানবাহন লক্ষ্য করা যায়নি। হাট-বাজার এবং রাস্তাঘাটে জন সাধারনের উপস্থিতি একেবারেই ছিল না বলা চলে।

সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়ে ঘোরাঘুরি করার দায়ে ১৪জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ১জুলাই (বৃহস্পতিবার) লকডাউনের প্রথম দিনে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজেস্ট্রেড মো: আবদুল মোমিন এবং সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহি ম্যাজেস্ট্রেড সুচিত্র রঞ্জন দাস। জরিমানায় তাদেরকে পাঁচ হাজার পাঁচশত টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এরা হলেন- আ. সহিদ, মো. বাবু, দেলোয়ার হোসেন, সোহাগ, সাহাব উদ্দিন, মো. নইমুল ইসলাম, মো. সোহেল, সোহেল, মো, মিলন, মো. টিটু, আরমান হোসেন, মেহেরাব হোসেন, মো. জমির আলী ও উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ।

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান এর নেতৃত্বে মাঠে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি দেখা গেছে আনসার সদস্যদেরও।

রামগতি থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর ভাবেই লকডাউন পালিত হয়েছে রামগতিতে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি পেট্রল টহল, চেকপোস্ট এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সংক্রমন রোধে ভূমিকা রাখছে রামগতি থানা পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল মোমিন বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অপ্রয়োজনে বের হওয়া এসব লোক ভ্রাম্যমাণ আদালত এর কাছে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা ও সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(১)(খ) ধারায় তাদের জরিমানা করা হয়।