২৭লাখ ছাড়িয়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২১

দেশালোক ডেস্ক: কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এক বছর সময়কাল অতিক্রম করছে। বেশ কিছু দিন অবস্থা স্বাভাবিক হতে থাকলেও সম্প্রতি শুরু হয়েছে এর দ্বিতীয় ঢেউ। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছেই। বাধ্য হয়েই বেশ কয়েকটি দেশ দ্বিতীয়বারের মতো লডডাউন ঘোষনা করেছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ২২ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ২৭ হাজার ১৯১ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ লাখ ২২ হাজার ২০৩ জনের। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৭ কোটি ৯২ হাজার ৮৩৯ জন।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪১২ জন। আর এই মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৮৮৮ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৫২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪২৫ জনের।

মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১৩ নম্বরে। মেক্সিকোতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৯ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে চতুর্থ স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৭ জনের।

মৃত্যু ও আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৬০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৪১১ জনের।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯২টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।