রামগতিতে ছোট ভাইদের কাঁটার বেড়ায় অবরুদ্ধ বড় ভাইয়ের পরিবার

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩

দেশালোক:
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইদের কাঁটার বেড়ায় বড় ভাই মো. হারুনের পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। বুধবার সকালে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরআফজল এলাকায় সংঘটিত এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী হারুন ওই এলাকার মৃত মো. হাফেজ আহাম্মদের প্রথম সংসারের ছেলে। অভিযুক্তরা একই এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন ও আল-আমিন। তাঁরা হারুনের সৎ ভাই।

স্থানীয়রা জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে মৃত হাফেজ আহাম্মদের দুই সংসারের ছেলেদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠকও হয়। জমি নিয়ে এ বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে হারুনের বসতঘরের প্রবেশমুখে ছোট ভাই জমির ও আল-আমিন কাঁটার বেড়া দেয়। পাশাপাশি মাটি কেটে কয়েকটি সুপারি গাছের চারাও রোপণ করে তাঁরা। এতে ঘর থেকে বের হওয়ার পথ না থাকায় হারুনের পরিবারের সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

হারুন জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। যে কারণে, জমির ও আল-আমিন ঘরের সামনে বেড়া দেওয়ার সময় স্ত্রী রেহানা বেগম নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা তাঁকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ঘরের সামনে লাগানো পল্লী বিদ্যুতের মিটারটি ভেঙে ফেলেছেন।

তিনি বলেন, মা ভিন্ন হলেও আমরা সবাই একই বাপের সন্তান। কিন্তু আমার ছোট ভাইয়েরা যে কাজটি করেছে তা খুবই অমানবিক। আমি এর বিচার চাই।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জমির উদ্দিন জানান, হারুনের বসতঘরের সামনের জায়গাটির মালিক তাঁর মা। যে কারণে, হারুনকে বারবার ঘর সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও তিনি শুনছেন না। এজন্য বাধ্য হয়ে আল-আমিনসহ তিনি জায়গাটি বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফেরদৌস জানান, হারুনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। এ সময় তিনি কাঁটার বেড়া সরিয়ে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের বললেও তাঁরা শুনেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘরের সামনে বেড়া দিয়ে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা অমানবিক। তাই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।