রামগতি ইনজেকশন দেওয়ার পর ৭রোগীর খিঁচুনি, ১জনকে রেফার

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

দেশালোক:

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকজন রোগীকে ইনজেকশন দেওয়ায় পাশ^র্ প্রতিক্রিয়া হিসেবে খিঁচুনির দেখা দিয়েছে। অবস্থার অবনতি ঘটায় একজনকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই জ¦র এবং ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালীতে রেফার করা রোগীর নাম মো: জাহাঙ্গীর আলম (৬৫)। তিনি চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজগ্রামের বাসিন্দা। জ¦রের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গত তিনদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে রোগীদের নিয়মিত ঔষধ সরবরাহ এবং ইনজেকশন দেওয়ার সময় শিশুসহ ২৫রোগীকে সেফটিএক্সন ইনজেকশন দেওয়া হয়। ঘন্টা খানেক সময়ের মধ্যে সেসব থেকে ৭রোগীর মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে খিঁচুনি দেখা দেয়। এর মধ্যে ছয়জন শিশু। অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। অবশিষ্ট রোগীদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক করা হয়। জানা যায়, গত সাপ্তাহে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১হাজার পিস সেফটিএক্সন ইনজেকশন জাতীয় ঔষাধাগার থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। আজ সকালে সেখান থেকে ১শ পিস বের করা হয়। এখান থেকেই রোগীদেরকে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। পাশ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে রোগীদের খিঁচুনি দেখা দেওয়ায় এসব ইনজেকশন ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন রোগীর অভিভাবক জানান, প্রতিদিনকার মতো সকাল বেলা নার্স এসে বাচ্চাকে ইনজেকশন দেয়। এর এক ঘন্টার পর বাচ্চার প্রচন্ড খিঁচুনি দেখা দেয়। চোখ-মুখ খাড়া করে ফেলে। এরপর বড় ডাক্তার এসে আবার ঔষধ দিয়েছে। এখন রোগী মোটামুটি ভালো আছে।

রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামনাশীস মজুমদার জানান, ইনজেকশন দেওয়ার পর প্রতিকূল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় সেগুলোর প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে কতৃর্পক্ষকে জানিয়েছি। ইনজেকশনগুলো ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।